সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ: ৩১শে জানুয়ারি:- সামাজিক ন্যায় মঞ্চ ,পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ, আদিবাসী ও লোক শিল্পী সংঘের যৌথ উদ্যোগে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী ধূপগুড়ি শহরের ফালাকাটা রোড বাস স্টপ সংলগ্ন সদাসোনা ছাত্রাবাস প্রাঙ্গনে উত্তরবঙ্গের চার জেলা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং নিয়ে সাংস্কৃতিক মিলনমেলা ও সমাবেশ করা হবে।
আজ রবিবার ধূপগুড়িতে কর্মচারী ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা ঘোষণা করলেন সামাজিক ন্যায় মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস। তিনি বলেন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিভিন্ন জনজাতির মানুষের বসবাস রয়েছে আবহমান কাল ধরে। তাদের সকলের নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রয়েছে। এই বৈচিত্রপূর্ন সাংস্কৃতিক ধারা বিকাশের এবং প্রচারের জন্য মিলনমেলা করা হচ্ছে। অলকেশ দাস আরও বলেন অবাক করার ঘটনা হলো ভোট এলেই এই জনজাতির মানুষের কথা মনে পড়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের। রাজবংশী আদিবাসী তপশিলি জনজাতির মানুষের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বোর্ড একাডেমি করা হছে ভাল কথা এতে আমাদের বিরোধ নেই কিন্তু এই সব বোর্ড পর্ষদ পরিচালনার জন্য কোনো পরিকল্পনা নেই অর্থ বরাদ্দ নেই। ভোট আসছে এবার কিছু অর্থের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এই সব মানুষ দের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। নেই কর্মসংস্থানের সুযোগ, নেই জমির অধিকার জল জঙ্গলের অধিকার। গাল ভরা নাম দিয়ে বোকা বানাবার চেষ্টা হচ্ছে বোর্ড একাডেমি পর্ষদ গঠন করে। রাজ্য সরকার মুখে বলে তারা নাকি ঋণ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
গত দশ বছরে তারা যে পরিমাণ ঋণ করেছে সেটা ৩৪ বছরের বাম সরকারকে ছাড়িয়ে গেছে। একটা ঋণগ্রস্ত সরকার নাকি মানুষের উন্নয়ন করবে। তেমনি কেন্দ্রের সরকার তারাও আদিবাসী তপশিলি সহ বিভিন্ন পিছিয়ে পরা জনজাতির মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।দুজনের লক্ষ এক ভোট আদায় করা।আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী সমাবেশ করে সেই যন্ত্রনা বঞ্চনামিথ্যা প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হবে।চার জেলা থেকেই শিল্পী সহ সাধারণ মানুষ যোগ দেবেন। দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টাপর্যন্ত এই মিলন মেলা চলবে। এদিন এখানে অনুষ্ঠান পরিচালন কমিটির সভা হয়। ধূপগুড়ির প্রবীন শিক্ষাবিদ পূজন চক্রবর্তী সভাপতিত্ব করেন।আদিবাসী অধিকার মঞ্চের রামলাল মূর্মুসহ অনান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।