দেশ

মরুরাজ্যে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সিপিআইএম


রঞ্জন মুখার্জি, চিন্তন নিউজ, ২৮ এপ্রিল: শিকার লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই করছেন সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদক তথা সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় নেতা ‘আমরা রাম’।
শিকার লোকসভা কেন্দ্র ৮টি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত। শিকার, ধোদ, দন্ডারামগড়, লক্ষণগড়, খান্ডেলা, নিম কা থানা, শ্রীমাধোপুর এবং চোমু। এই লোকসভা কেন্দ্রের মোট ভোটার প্রায় ২০ লক্ষ। সাধারণত ৭০ শতাংশ ভোট পোল হয়।

মরুরাজ্যে সিপিআইএম এর মিছিল


রাজস্থানের শিকার কেন্দ্রের সিপিআইএম কে মুলতঃ কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। এখানকার সি পি আই এম পার্টি নেতৃত্বের কাছে জানা গেল এইখানে কংগ্রেস ও বিজেপির একটি গোপন আঁতাত রয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপির মূল প্রতিপক্ষ সিপিআইএম তথা বামপন্থীরা। তাই দুই দল যোগসাজশে সিপিআইএম বিরোধী ভোট যেকোনো একদলে কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করে।
একটি উদাহরণ দিলে আরও পরিস্কার হয়ে যাবে।২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধোদ কেন্দ্রে সিপিআইএম এর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৫০০০ এবং বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৭০০০। গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম এর ভোট বেড়ে হয় ৬২০০০। বিজেপি তাদের ভোট কংগ্রেস কে দিয়ে দেয়। বিজেপির ভোট কমে হয় ৪২০০০
শিকার লোকসভা কেন্দ্রে আজ পর্যন্ত সিপিআইএম সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়েছে ১৯৯৮ সালে। প্রাপ্ত ভোট –১,৩৪,০০০। সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে ২০১৪ সালে। প্রাপ্ত ভোট ৫৩০০০
২০১৯ এর বিধানসভাভিত্তিক ভোট ধরলে এবার লোকসভায় সিপিআইএম ১,৩৪,০০০ ভোট পাওয়ার আশা করছে। বিগত বছরের বড়ো বড়ো কৃষক জমায়েত এবং আন্দোলনের ফলে এবার ভোটে সিপিআইএম উল্লেখযোগ্য ভাবে ভালো ফল করার প্রত্যাশা করছে। সিপিআইএম শিকার জেলা সম্পাকমন্ডলীর সদস্য শ্রী রাম রতন বাগাডিয়ার সাথে কথপোকথনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

কমরেড রাম রতন বাগাড়িয়া


শিকার লোকসভার অন্ত‍র্গত শিকার বিধানসভার শিকার তহশীলের একটি মহল্লা -‘খুরেশী মহল্লা’ ।এই মহল্লায় প্রায় ১০০শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের  বাস। এতদিন পর্যন্ত এখানকার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল কংগ্রেসের। স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার এখানে সিপিআইএম এর সভা হচ্ছে। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ১.০০.০০০। তার মধ্যে ১৬০০০ ভোটার। এই মহল্লায় মোট পার্টি সদস্য ২৫ জন। এখানকার সিপিআইএম নেতা শ্রী আব্দুল কায়ুম কু্রেশীর সাথে সাম্প্রতিক বামপন্থী আন্দোলন নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে উঠে এল যে বিষয়গুলি,সেগুলি হ’ল —
● বিগত বছরগুলোতে কংগ্রেস মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে শুধু মাত্র ভোটব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করেছে।
● সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে যত আন্দোলন সব হয়েছে সিপিআইএম এর নেতৃত্বে।
● সরকারি সুবিধার প্রতিশ্রুতি আছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণের দায়বদ্ধতা নেই।
● সব মুসলিমকে আতঙ্কবাদী তকমা দেওয়ার যে চেষ্টা বিজেপি করছে, তার বিরুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে রুখে দাঁড়িয়েছে বামপন্থীরা।
● কংগ্রেস সাচার কমিটির সুপারিশ কার্যকরী করে নি। তাই কংগ্রেসের প্রতি আস্থা নেই।
মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে সিপিআইএম নেতা আব্দুল কায়ুম কুরেশি বলেন মাদ্রাসা শিক্ষা পদ্ধতির অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তিনি বলেন এখন মাদ্রাসাতে নন মুসলিম শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারেন।

কমরেড আব্দুল কায়ুম কুরেশি


মাদ্রাসার আর্থিক দায়ভার সরকার বহন করছেন।
সবশেষে শ্রী আব্দুল কায়ুম কুরেশি বলেন এবারের নির্বাচনে সিপিআইএম তথা বামপন্থীদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করে সংসদে পাঠানোই মূল লক্ষ্য।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।