দেশ

সত্যের সপক্ষে আছি”প্রশান্ত ভূষণ।


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:২৬শে আগস্ট:- আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ গত ২৭ জুন একটি ট্যুইটে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যখন ইতিহাসবিদরা ফিরে তাকিয়ে বিচার করবেন জরুরি অবস্থা ঘোষণা না করেও কিভাবে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছিল,তাঁরা বিশেষ ভাবে দেখবেন এই ধ্বংসের কাজে সুপ্রিমকোর্টের এবং বিশেষ করে শেষ চার প্রধান বিচারপতির কী ভূমিকা ছিল।২৯ শে জুন একটি ছবির সঙ্গে ট্যুইট করেন ভূযণ।সেখানে দেখা যায় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে একটি হার্সে ডেভিডসন মোটর সাইকেলে বসে আছেন। ভূষণ লেখেন লেখেন ,রাজভবনে এক বিজেপি নেতার ৫০ লক্ষ টাকা দামের মোটর সাইকেলে চড়ছেন প্রধান বিচারপতি, মাস্ক নেই, হেলমেট নেই,অথচ তিনিই সুপ্রিম কোর্ট লকডাউন করে রেখে জনগণের বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন ।শীর্ষ আদালত সেই ট্যুইটের জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার মামলা করে ও তাঁকে ট্যুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে বললে তিনি অসম্মত হন। শীর্ষ আদালত তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য তিনদিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি এস,এ,বোবদে এবং সুপ্রীম কোর্টে নিজের টুইটে আদালত অবমাননার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

শীর্ষ আদালতের দেওয়া তিনদিনের সময় মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, কিন্তু শীর্ষ আদালত রায় দিতে পারেন নি। আদালত ১০ সেপ্টেম্বর অন্য বেঞ্চের জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত করেছে।

প্রশান্ত ভূষণ বলেন ,” আমি যা বিশ্বাস করি, তাই বলেছি”।আমি বিশ্বাস করি যে সুপ্রীম কোর্ট মৌলিক অধিকার নজরদারি সংস্থা ও প্রকৃতপক্ষে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের জন্য সুরক্ষার শেষ ঘাঁটি।।এই আদালত অন্যদেশের অনুকরণযোগ্য হয়ে ওঠা প্রয়োজন। প্রশান্ত ভূষণ তিন বিচারকের ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন, “বিবৃতি প্রত্যাহার করে আমি বিবেকের কাছে অবজ্ঞার পাত্র হবো না”।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।