কল্পনা গুপ্ত:চিন্তন নিউজ:২১শে মার্চ:– ২০১৯- ২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী দ্রুত ও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার চলমান ঘটনা। গুরুতর ও তীব্র শ্বাসকষ্টমূলক উপসর্গবিশিষ্ট এই করোনাভাইরাস চীনের হুপেই প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী উহান নগরীর কতৃপক্ষ সনাক্ত করেন। সেসময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৪১ জন চীনা ব্যক্তির গুরুতর ফুসফুসের প্রদাহ রোগ হয়েছিলো এবং প্রথমদিকে তাদের রোগের কোন পরিষ্কার কারণ বেড় করা যায়নি। উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারে বিক্রিত কোনও প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বাজারের দোকানদার ও ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। পরে চীনা বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রকারের করোনাভাইরাসটি পরীক্ষাগারে আলাদা করে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
নেচার মেডিসিন ম্যাগাজিন আর ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয় যে, আমেরিকার স্কিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের দাবি কোভিড ১৯ পরীক্ষাগারে তৈরি হয়নি, স্বাভাবিক বিবর্তনের ফলে এইরূপে এসেছে।
তাদের গবেষণায় পাওয়া গেছে-
এটি- ১) মানব সৃষ্ট বা কৃত্রিম নয়।
২) স্বাভাবিক বিবর্তনের ফলে সৃষ্টি।
৩) ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন জেনেরিক টেমপ্লেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করেই তারা প্রাণী কোষ ভেদ করে।
৪) এই স্পাইকের দুটি অংশ- ১টি রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেন। এটি হুকের মতন অংশ যা দিয়ে মানিব বা প্রাণী কোষ আঁকড়ে ধরে।
৫) স্পাইক প্রোটিনের ২য় অংশটি দিয়ে কোষ ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায় এই মারণ ভাইরাস।
৬) বাতাসে বাঁচে তিন ঘন্টা, কাঠবোর্ডে বাঁচে ২৪ ঘন্টা, প্লাস্টিক বা ইস্পাতে ২/৩ ঘন্টা পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
এই বিষয়গুলি একটি কথাই পরিষ্কার করে দেয় যে করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারীকরণে চীনের ভূমিকার মনোপলির যে প্রচার তা বিশুদ্ধ অপপ্রচারের নামান্তর।
খুব স্বাভাবিক সমীকরণ এটাই যে একটি সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে একটি জঘন্যতম অপবাদ দিয়ে বিশ্বের দরবাারে হেয় প্রতিপন্ন করার এক সস্তা রাজনীতি পৃথিবীর ধনতান্ত্রিক দেশগুলির এক অসুস্থ মনোবিকার।
বিজ্ঞানের নিরপেক্ষতার মাধ্যমেই সেই সত্য উদঘাটিত হওয়াকে আমরা চিন্তন নিউজের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।