শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

বিপদে—–বিজ্ঞান‌ই একমাত্র ভরসা।


সৃষ্টি:চিন্তন নিউজ:১৫ই মার্চ:–অবশেষে ভগবানের দরজাতেও ঝুলল তালা। বিগত কিছুদিন ধরে মানুষের থেকে বেশি করোনা আতঙ্কে ভুগছেন ভগবান। আর তারই প্রমাণ হল,ভ্যাটিকান সিটি, মক্কা-মদিনা এবং বিভিন্ন স্থানে বন্ধ হয়ে যাওয়া মন্দির গুলি।কোথাও আবার চলছে গোমুত্র পার্টি,অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে।কোন যুক্তিতে?,এটি পান করলে নাকি করোনা ছুঁতে পারবে না অথচ এই থিওরি মেনে অতিরিক্ত গোমূত্র পান করে তথাকথিত গুরুদেব শেষ পর্যন্ত নিজেই হসপিটালে প্রযুক্তির আওতায়।

এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে আরও এক স্বঘোষিত ঈশ্বর যিনি নাকি সর্বশক্তিমান,নিজের আশ্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দেওঘরের অনুকুল আশ্রমে।করোনার ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সৎসঙ্গ আশ্রম। মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে একাগ্রচিত্তে নাম করলে মৃতদেহে প্রাণ সঞ্চার হয় ধারণার প্রবর্তক ভগবানের শেষ পর্যন্ত এই দুঃসময়ে ভক্তদের ত্যাগ করলেন সামান্য এক ভাইরাসের ভয়ে?এ যেন কিছুতেই মানা যাচ্ছেনা। আমাদের সনাতন ধর্মে যেকোনো কাউকেই খুব সহজে ভগবান বানিয়ে দেওয়া যায়।তার দেবত্বের প্রমাণের জন্য বিশেষ কোনো কষ্টিপাথরের প্রয়োজন পড়ে না।শাস্ত্রসম্মত বিধি নিষেধ,নিতান্তই তুচ্ছ সেখানে।

এমনই এক ভগবান যাঁর শুধু নামই যথেষ্ট। এমনকি মাত্র ৪৫ দিনের একটি বাচ্চার ওপেন হার্ট সার্জারি কোন প্রযুক্তি ছাড়াই শুধু ওনার নাম নিয়েই করা যায়।প্যানক্রিয়াসে হাজার হাজার পাথর নিয়েও বেঁচে বর্তে থাকা যায় বহাল তবিয়তে শুধুমাত্র ইষ্টভূতি করে,এই ভগবানের দয়ায়।এহেন কার্যকলাপের নায়ক তথাকথিত ভগবান কি মনে করে এই দুঃসময়ে তার একনিষ্ঠ ভক্তদের বিজ্ঞানের ভরসায় রেখে চলে গেলেন বা বলা ভালো পাততাড়ি গোটালেন সেটাই আশ্চর্যের আর এই প্রশ্ন কিন্তু উঠে আসছে ভক্তদের মধ্যে থেকেই। কিন্তু এর উত্তর কে দেবে?

সময় এসেছে।এবার অন্তত বোঝা উচিত যে,এই প্রশ্নের উত্তর গোমূত্র ও গোবর বা কোন অন্তঃসারশূন্য চলতি বাণী দিতে পারবে না।এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে একমাত্র বিজ্ঞান।আর তাই, মন্দির মসজিদ গির্জা যেখানে জন সমাগমের কারণে তাদের দরজা বন্ধ করেছে,সেখানে একমাত্র অবারিত দ্বার হাসপাতাল। ভগবান যেখানে নিজেই বাঁচার চেষ্টায় ব্যস্ত সেখানে অক্লান্ত পরিশ্রমে অন্যের প্রাণ বাঁচাতে সংঘর্ষ করে চলেছে কয়েকজন রক্ত-মাংসের সাধারণ মানুষের দল, যাদেরকে বলা হয় ডাক্তার।আর তাদের হাতিয়ার,,না কোন তাবিজ মাদুলি নয়,পিওর সাইন্স বা বিজ্ঞান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।