সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ: ১০ই মে:- পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শোনা যায় , স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশাল আধুনিক পরিবর্তন হয়েছে, সে কথা বার বার মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলীয় নেতাদের ভাষণে উঠে এসেছে।। আসলে দেখা যাচ্ছে কথার সাথে কাজের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বর্তমান পরিস্থিতিতে।।
আজ প্রায় দু’মাস হতে চললো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জেরবার গোটা বিশ্বের সাথে।। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান কাজ হলো যতটা না করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা তার থেকেও বেশী তথ্য গোপন করে যাওয়া।। এরফলে মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনেক দেরি হয়ে গেল।। সংক্রমিত হ’তে লাগলেন ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।। বন্ধ হতে লাগলো একেরপর এক হসপিটাল ও নার্সিংহোম।। বন্ধের মুখে মানুষের সাধারণ পরিষেবা।। করোনা ছাড়াও মানুষের আরোও অন্যান্য রোগ আছে আর তার চিকিৎসা ও খুব গুরুত্বপূর্ণ।। যে কটি হসপিটাল ও নার্সিংহোম খোলা সেখানেও ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই।। মানুষের প্রশ্নটা এখানেই কোথায় গেল ঘোষণা করা সুপার স্পেটালিটি হাসপাতাল গুলো??? সাধারণ রক্ত পরীক্ষা ,স্ক্যান, এক্সরে কিছুই হচ্ছে না বলে খবরে প্রকাশ।। কোভিড ১৯ রোগীদের বাঁচাতে গেলে চাই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট।। চাই দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মী ।। আজ দু’মাস পেরিয়ে গেছে টিম টিম করে অপ্রতুল চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করে চলেছে বেলেঘাটা আইডি ও বাঙ্গুর হসপিটাল।। অথচ পিজি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারটাতে কেন কোভিড আক্রান্ত দের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হলো না প্রশ্ন টা তো আসে।। রুটি রুজি হারানো মানুষ গুলোকে বাড়ীতে রেখে চিকিৎসা করার কথা বলাটা বড়ো নির্মম শোনায়।। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র টেস্ট_অথচ সেই টেস্টে পশ্চিমবঙ্গের স্থান নীচের দিকে প্রথম।। কেরালা রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও মেডিক্যাল কিয়স্ক বসানোর বাঁধা কোথায়?? ইতিমধ্যে দু’জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।। বেশীরভাগ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী হোম কোয়ারান্টিনে।। জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা কে দেবে উত্তর নেই কোন।। প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর নেই প্রশাসনের।