চৈতালি নন্দী, চিন্তন নিউজ, ৭ জুলাই: এ রাজ্যে আয় বাড়ানোর উপায় কি, এই সম্পর্কে বিরোধীদের নিকট প্রস্তাব আহ্বান করলেও বিরোধীদের প্রস্তাব গ্রাহ্যই করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী পরামর্শ দেন এইসব খেলা মেলা বন্ধ করলেই এই রাজ্যে অর্থের তহবিলে অনেকটা সাশ্রয় হতে পারে।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাতে বিন্দুমাত্র কান না দিয়ে সম্পূর্ণ উল্টো পথে গিয়ে বিধায়কদের দৈনিক ভাতা এক হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দেন। ঠিক হয় মাসের দুই পক্ষকালের মধ্যে দুটি করে মোট চারটি বিধান সভার বৈঠকে হাজির থাকলেই বিধায়কদের মাসের শেষে মিলে যাবে আরও ত্রিশ হাজার টাকা। যদিও এই বৃদ্ধিতে মন্ত্রী ও বিধায়কদের ভাতার ফারাক থেকেই গেল। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন যে অনেক প্রবীণ ও প্রাক্তন বিধায়ক আর্থিক দূর্দশার মধ্যে আছেন। তাদের আর্থিক সহায়তা বাড়ানো অনেক বেশী জরুরি ছিল।
বিজেপি নেতা অবশ্য কটাক্ষের সুরে মমতাকে বলেন যে ভাতা বাড়ানো হয়েছে ভালো কথা তবে প্রশ্ন তুলেছেন যে এই বর্ধিত টাকা আসবে কোথা থেকে? এরপর তিনি বলেন, কাটমানির যে ৭৫% টাকা মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় তহবিলে জমা আছে সেখান থেকে সরকার ঋণ নিতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু যথারীতি বাম সরকারের বয়েয়া ঋনের ভাঙা রেকর্ড বাজাতেই থাকেন।
একদিকে নিজেরা ইচ্ছে মতো নিজেদের ভাতা বাড়িয়ে নিচ্ছে অন্য দিকে সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত করছে, ষষ্ঠ পে কমিশন চালু করছে না, অধ্যাপকদের ইউ.জি.সি স্কেলকে অমান্য করছে। এই স্কেল থেকে শুধুমাত্র পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গের অধ্যাপকরাই বঞ্চিত রয়েছে।