রাজ্য

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিকে বৈধতা মুখ্যমন্ত্রীর


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২০শে ফেব্রুয়ারি:–অভিযুক্তদের আড়াল করে কেলেঙ্কারি কে বৈধতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রয়াতঅভিনেতা ও রোজভ্যালি কান্ডে অভিযুক্ত প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল। শুধু সাংসদ নয় অশালীন ভাষা ব্যবহার করে যথেষ্ট নাম কুড়িয়েছিলেন।। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদের মৃত্যুর পর স্বাভাবিক ভাবেই রবীন্দ্রসদনে তার মৃতদেহ শায়িত থাকবে ।।

কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বেনজির ভাবে এরাজ্যের সর্ববৃহৎ আর্থিক কেলেঙ্কারিকে বৈধতা দিলেন।। রোজভ্যালি কান্ডে সিবিআই এর চার্জশিট এ রয়েছে তাপস পালের নাম।। কোনরকম দূর্নীতিতে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে যার নাম সিবিআই এর চার্জশিট এ থাকলে তাকে “”গান স্যালুট”” দেওয়া যায় কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গেল।।

সুত্রের খবর অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক আইনজীবী এই প্রশ্ন তুলেছেন।। অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ভাবে এদিন তাপস পাল, সুলতান আহমেদ ও প্রসুন ব্যানার্জি র স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য সিবিআই তদন্তকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী।।২০১১ সালে তৃনমুল কংগ্রেস পশ্চিমবাংলাতে ক্ষমতায় আসে ।। তারপর ২০১৩ সালে সারদা কাণ্ডের হাত ধরে বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারি জনমানসের সন্মুখে আসে।। এখন পর্যন্ত সারদা কাণ্ডে ১৬৭ জন আমানতকারী আর্থিক কষ্টে আত্মহত্যা করেছেন।। এতগুলো মৃত্যুর ঘটেছে কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কথাও উচ্চারণ করা হয়নি।। ২০১৩ সালে উর্মিলা প্রামাণিক নামে একজন আমানতকারী _বারুইপুরের বাসিন্দা প্রথম আত্মহত্যা করেন।। স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিচারিকার কাজ করে উপার্জিত অর্থ সারদা চিটফান্ড সংস্থায় রেখেছিলেন। । কিন্তু এই কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর সেই ধাক্কা টা সামলাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ।। তারপর একের পর এক করতে করতে ১৬৭ জন এক ই পথের পথিক হন।। এতগুলো মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা করা বা কোন সহানুভূতি দেখা যায়নি সরকারের পক্ষ থেকে।। প্রথম থেকেই মৃত্যুকে হাতিয়ার করে চলেছেন মমতা ব্যানার্জি।। তাপস পাল এর মৃত্যু তে এর অন্যথা হলো না।। এই মৃত্যু টাকেও কাজে লাগালেন মুখ্যমন্ত্রী।।

আশ্চর্য জনক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।। সর্বসমক্ষে তিনি বলেন ত‌নমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এর ব্যাপার টা ছিল টিকিট আপগ্রেডেশনের।। মৃতদেহ সামনে রেখে বেমালুম মিথ্যাচার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।। রোজভ্যালি কান্ডে অভিযুক্ত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।। অভিযোগ একাধিক বার এই প্রতারক সংস্থা থেকে আর্থিক ও অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন সুদীপ বাবু।।আরও অভিযোগ আদ্যোপান্ত একটা চিটফান্ড সংস্থার জন্য বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলে ব্যাপক তদ্বির করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।।তাপস পালের মৃত্যুতে খুব স্বাভাবিক ভাবে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী তার স্ত্রী, মেয়ে, পরিবার পরিজন সবার সামনে দাঁড়িয়ে বেমালুম ভাবে বললেন একটি এজেন্সি দ্বারা মানসিক ভাবে অত্যাচারিত হয়ে নাম্বার ওয়ান ফিল্ম স্টার কে জেল খাটতে হয়েছে। এসব শোনার পর আরেক প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী র কথা যদি ঠিক হয় তবে তার মার মৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার ও রাজীব কুমার এর মতো কিছু পুলিশ অফিসার।। তিনি বলেন যে যখন তিনি জেলে ছিলেন তখন মায়ের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি এমনকি তিনি মাকে দেখার জন্য অনশন পর্যন্ত করেছেন।।

মুখ্যমন্ত্রী তাপস পাল এর বিষয়ে আরও বলেন রোজভ্যালির সঙ্গে তেমন কিছুই যোগাযোগ ছিল না শুধু মাত্র একটি চ্যানেলের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করত আর তার জন্য বেতন পেত।। সিবিআই তরফে জানানো হয় রোজভ্যালি ফিল্ম ডিভিশনের আ্যডভাইসারি বোর্ড বলে কিছু নেই পুরো টাই আই ওয়াশ।। এইভাবে বিভিন্ন স্থানে মৃত্যু কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।