মাধবী ঘোষ :চিন্তন নিউজ:২০শে জুন:- শহরে অনুষ্ঠিত হলো বিদ্বজনদের প্রতিবাদ সভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নানা অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হলো তপন থিয়েটারে । উপস্থিত ছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। তারই নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
শঙ্খ ঘোষ ছাড়াও এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন শহরের নানা বিদ্বজন। দেবেশ রায়, অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কৌশিক সেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বিভাস চক্রবর্তী, নবনীতা দেব সেন, চন্দন সেন প্রমূখ উপস্থিত থেকে বাংলায় মেরুকরণের রাজনীতির নিন্দা করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন কৌশিক সেন। তিনি বলেন, “রাজ্যে এত গুলি বোমা কোথা থেকে আসছে? শত্রুকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।
ইতিহাস আমাদের সিভিল সোসাইটি মুভমেন্টের সুযোগ দিয়েছিল। আমরা সেই সুযোগকে জলাঞ্জলি দিয়ে কমিটিতে ঢুকে পড়েছি।”
অপর্ণা সেনের কথায়- আগে হিন্দু মুসলিম বিরোধ ছিল না বাংলায়। কিন্তু এখন তা মুখ্য হয়ে উঠেছে। এমনটা আগে কখনো দেখিনি। কম বয়সে কফি হাউসের কত আড্ডা দিয়েছি বন্ধুদের সঙ্গে। কত তর্ক হোতো। কিন্তু মতান্তর হতো না। সভার সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন চন্দন সেন।
এই প্রতিবাদ সভা রবীন্দ্রসদনে হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা পাল্টে তপন থিয়েটার এ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেহেতু সরকারের প্রতি প্রতিবাদ, সেই জন্যই কি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ রবীন্দ্রসদনে এই সভা করতে বাধা দেয়া হলো ? এমনও প্রশ্ন উঠে এসেছে।
তবে প্রতিবাদ সভার আয়োজক দের মধ্যে অন্যতম নাট্য পরিচালক চন্দন সেন এ ব্যাপারে বলেন,অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা জমা দেবার সময় রবীন্দ্র সদন কর্তৃপক্ষ জানায় সন্ধ্যা সাতটায় প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে দেরি হতো। পরে শঙ্খ বাবুর নির্দেশে তপন থিয়েটার এ সভার আয়োজন করি।”
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত শাসকদলের সন্ত্রাস এবং পরবর্তী সময় হিংসা ছড়িয়ে থাকার ঘটনা কে কটাক্ষ করে বুদ্ধিজীবী মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর সাড়ে তিনটে মৌলালী যুব কেন্দ্রে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভাস চক্রবর্তী, সুজাত ভদ্র প্রমূখ।