চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ:৮ই ফেব্রুয়ারি:–ভারতের স্বনামধন্য যে কটি ক্লাব রয়েছে তার মধ্যে একটা অন্য উচ্চতায় রয়েছে মোহনবাগান এ্যাথলেটিক ক্লাবটি। এটা শুধুমাত্র একটা ক্লাব নয়, এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রাক স্বাধীনতা যুগের একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
ভারতীয়রাও যে ব্রিটিশদের মাত্ দিতে পারে ,এই ধারণা ও বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছিল এই ক্লাবটিই।১৯১১ সালে ২৯শে জুলাই নিউইয়র্কে র বিরুদ্ধে মোহনবাগানের আইএফএ শিল্ড জয় ,ভারতীয়দের স্বাধীনতা র কামনাকে মূর্ত করেছিল।
ক্লাবের ১৩০ বছরের ইতিহাস কে অসম্মান ও অস্বীকার করে তার সাথে এটিকে র(ATK) সংযুক্তি অনেক সদস্য ও সমর্থকরাই মেনে নিতে পারছেন না।শুধুমাত্র ফুটবল নয়,হকি,ক্রিকেট, টেনিস, এ্যাথলেটিকস ,সব মিলিয়ে এটা একটা প্রতিষ্ঠান, একটা কমপ্লিট প্যাকেজ।আর্থিক অবস্থার দোহাই দিয়ে ,’এটিকে’ সংযুক্তি কি ‘জাতীয় ইতিহাস’কে বিকিয়ে দেওয়া নয়।
এই সংযুক্তিকরন নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ এটিকে র কোচ আন্তোনিও লেপেজ হাবাস।তাঁর মতে এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি পেশাগত ও বানিজ্যিক।গত ১৬জানুয়ারি সীলমোহর পড়েছে মোহনবাগান এটিকের সংযুক্তিকরনের।ঠিক হয়েছে ৮০% শেয়ার থাকবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের হাতে ,বাকি ২০% থাকবে মোহনবাগান এ্যাথলেটিক ক্লাবের হাতে।লোগো ও জার্সিতে কোনো বদল ঘটবেনা।ক্লাব পরিচালনায় এটিকে কোনো হস্তক্ষেপ করবেনা।তাদের তত্বাবধানে তৈরী হবে অত্যাধুনিক জিম এবং খেলার মাঠ।
যদিও মোহনবাগানের সমর্থনকারীরা এই প্রশ্নে সরাসরি দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এর ফল কি হবে তা ভবিষ্যৎ ই বলতে পারে।তবে একটি শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ইতিহাস ,সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিস্মৃত হয়ে যখন বানিজ্যের সঙ্গে আপোষ করতে গাঁটছড়া বাঁধে তখন প্রতিষ্ঠানটি তার মর্যাদা হারায়।