চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ:১২রা জানুয়ারি:–মুখ্যমন্ত্রীর স্বৈরাচারী আইনের বলে এখন রেলের কোপে বিক্ষোভ কারীরা।।২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রীর করা এক অনৈতিক স্বৈরাচারী আইনের বলে এখন রেল বিক্ষোভকারীদের থেকে ক্ষতিপূরণের জন্যে চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমানে এনআরসি এবং সিএএ নামক নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশ বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।ভারতের সমস্ত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ভাষা ধর্ম নির্বিশেষে এর প্রতিবাদে মুখর।প্রতিদিন নতুন করে এক এক জায়গা থেকে আসছে বিক্ষোভের খবর।
উপরোক্ত আইনের বলে রেল এইসমস্ত বিক্ষোভ কারীদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্যে চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী র করা একটি স্বৈরাচারী আইন থেকে।তাতে জনজীবনে শৃঙ্খলা রক্ষা র নামে বিক্ষোভকারীদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা বলা হয়েছিল।তিনি মনে হয় তখন ভূলে গিয়েছিলেন , একদা ২০০৬ সালে সংবিধান হাতে নিয়ে, তিনি নিজে অনুচরবৃন্দদের দ্বারা নির্বিচারে বিধানসভা ভাঙচুর করেছিলেন। এখন ঐ আইনের সুযোগে রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভে রেলের যে ক্ষতি হয়েছে ,তা বিক্ষোভকারীদের থেকেই আদায় করা হবে। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিতকরণ এর কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সিপিআইএম দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন যে,ঐ সময় এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা। এখন ঐ আইনের বলে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্যে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন এখন মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি বিরোধিতার কথা বলছেন বটে কিন্তু ক’দিন আগেও তিনি এনপিআরকে জনগননা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা করেন। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের একটি টুইট এরও নিন্দা করেন তিনি।