রাজ্য

সংকটে বৌবাজার-চরম বিপদে স্বর্ণ শিল্পীরা।


বিশেষ সংবাদদাতা:চিন্তন নিউজ:২০শে সেপ্টেম্বর:- আজ টানা ১৮ দিন হয়ে গেল—-ইস্টওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জেরে ধ্বস নামে বউ বাজার এর কিছু বাড়ীতে।। অনেক গুলো বাড়ী হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।। সবচেয়ে বড় কথা এই বাড়ী গুলির প্রত্যেকটি একেকটি ওয়ার্কশপ।। ২৫০ টি ওয়ার্কশপ আছে এই অঞ্চল এ——আর তার সঙ্গে যুক্ত ৩৫০০ কর্মী। সেদিনের সেই ঘটনার পর প্রতি ওয়ার্কশপে তালা পড়েছে।। তারফলে ওয়ার্কশপ গুলির ধারে কাছে কেউ যেতে পারছে না।। পুজোর আগেই কর্ম হীন হলেন বেশীর ভাগ স্বর্ণ শিল্পি।কর্মজীবন নিয়ে ভুগছেন সাড়ে তিন হাজার কর্মী পুজোর আগে।।

স্বর্ণ শিল্পি পরিতোষ কর জানালেন আগে অন্য রকম ভাবে তারা বেতন পেতেন কিন্তু এখন ৬% টাকা পান প্রতি গ্রাম সোনার গয়না গড়লে। যে যত বেশী গয়না করবে সে তত বেশী মজুরী পাবে।। স্বর্ণশিল্পি পরিতোষ কর আর‌ও জানান এই বিপর্যয়ের কারণে সব কাজ বন্ধ, বিয়ের বায়না ছিল এবার গ্রাহক দের কাছ থেকে চাপ আসছে গয়নার জন্য।। জানালেন দূর্গা পুজোর আগে প্রচুর বায়না আসে -পুজোর পর ধনতেরাস বিয়ের মরশুম, তাই এসময় মজুরী প্রায় ৩০/৩৫ হাজারে গিয়ে পৌছায়। আর এক শিল্পি জানালেন তিনি প্রচুর বায়না নিয়েছিলেন, -এবার গ্রাহক গয়না চাইছে——কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।। ঘটনাটা ঘটার পরই তারা মেট্রো কতৃপক্ষের কাছে গিয়েছিলেন, তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন —–তাদের দিয়ে আবেদন পত্র পূরণ করায় এবং বলে তাদের অসুবিধা হবে না কিছু——তাদের কোন ক্ষতি হবে না। তারপর ১৮ টি দিন কেটে গেল, মেট্রোর পক্ষ থেকে কোন ডাক আসেনি।। বাড়ীতে বাচ্চাদের স্কুল, টিউশনের খরচ, এখন রাস্তায় বসে দিন কাটানো। জমিয়ে রাখা কিছু টাকা ছিল তাতেও হাত পড়েছে।।

সরকার পক্ষের জনৈক নেতা বলেছেন ,”তোমরা ব্যবসায়ী”—–এখানে কিছু হবে না তোমাদের।। তবে এলাকার কিছু বাসিন্দা তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।।একদিকে ওয়ার্কশপ খুলতে পারছেন না —–তার আশেপাশে যেতে পারছেন না, কবে খুলতে পারবেন তাও জানেন না —-তার উপর যাদের গয়নার বায়না নিয়েছিলেন তার দায় মাথার উপর ——এই পরিস্থিতিতে তারা আদালতের দারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন।। বিপুল টাকার ক্ষতি হচ্ছে তাদের। তাদের দাবী তাদের ব্যাবসা চালু করার দায় কেএমআরসিএল কে নিতেই হবে। কতৃপক্ষ প্রায় ৩৫০০ জন কে বঞ্চিত করে চলেছেন। তাই আদালতে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।