দেশ বিদেশ

ভূবন রিভু


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২রা নভেম্বর:–রিভুর “ভুবন”জয়__ সম্প্রতি অখ্যাত এক ভারতীয়র সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য এসেছে এই ভুখন্ডে ।। জানা গেছে সেই ভারতীয় এক এনজিও কর্মী।।এই সংগঠনটি তৈরি করেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী।। এখন যা বিশ্বের একশো চল্লিশ টি দেশে কাজ করছে।। সেই””বচপন বাঁচাও আন্দোলন””এর হয়ে কাজ করেন ভুবন রিভু।

প্রায় ১৫ মাস আগে পরীক্ষা মুলক ভাবে এই প্রকল্পটি হাতে নেন ভুবন।। পুলিশের ডেটাবেস এ থাকা হারিয়ে যাওয়া শিশু দের তালিকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গার পরিচয়হীন শিশুদের দেখভাল কারী প্রতিষ্ঠানে থাকা শিশুদের চেহারা মিলিয়ে দেখতে শুরু করে তার প্রতিষ্ঠান।। খুব দ্রুত ফল পেলেন।। হারিয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে দশ হাজার শিশুর পরিচয় উদ্ধার করেন তিনি।।

মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন হারিয়ে যাওয়া ১০ হাজার ৫৬১ টি শিশুর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছেন তিনি।। এখন ওই শিশুদের তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।। এই শিশুরা প্রায় সবাই পাচারের শিকার।। এদের কেউ পোশাক কারখানায় কাজ করত আবার কাউকে পতিতা লয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।।

রিভুর এই কাজে সবথেকে বেশি সহায়তা করছে দিল্লি পুলিশের একটি প্রযুক্তি।। রিভু জানিয়েছেন ভারতে প্রায় তিন লাখ হারিয়ে যাওয়া শিশু আছে।। তিনি যে প্রযুক্তি টি ব্যবহার করেছেন সেটি হল “”ফেস রিকগনিশন টেকনোলজি”” বাংলা তে যাকে বলে “”চেহারা শনাক্ত করণ প্রযুক্তি””” হারিয়ে যাওয়া তিন লাখ শিশুদের মধ্যে প্রায় এক লাখ শিশু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আওতায় আছে। প্রযুক্তি ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হত না।। সিএনএন জানিয়েছে শিশু পাচার ভারতের এক অন্যতম মাথা ব্যাথার কারন।। প্রতি এক লক্ষ নাগরিকের জন্যে পুলিশ মাত্র একশো চুয়াল্লিশ জন।। লোকবলের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এই প্রযুক্তির দ্বারস্থ হচ্ছে পুলিশ।।

২০১৮ সালে দিল্লি পুলিশ প্রথম এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে।। এবার এই প্রযুক্তিকে একেবারেই অন্য মাত্রাতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে যাতে ঊনত্রিশটি রাজ্যের পুলিশ একযোগে এই ডেটাবেস এ ঢুকতে পারবে এবং কাঙ্খিত ব্যাক্তির চেহারা শনাক্ত করতে পারবে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।