দেশ রাজ্য

ইয়েস ব্যাঙ্কের ভরাডুবিতে বাংলার কৃষকের মাথায় হাত।।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১১ই মার্চ:–নবান্ন ও অর্থ দফতরের তত্বাবধানে টাকা রেখে কৃষকদের মাথায় হাত। ইয়েস ব্যাঙ্কের ভরাডুবিতে বাংলার কৃষকের মাথায় হাত।। রাজ্যসরকারের ভূমিকা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠেছে।। কেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছেড়ে বেসরকারি ব্যাংকে টাকা রাখার ও তার মাধ্যমে গরীব কৃষকদের চেক বিলি করা হল এই নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য।। তার চেয়েও বড় কথা হল কতজন কৃষকদের কাছে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক আছে সেটাও ঠিকমতো জানে না রাজ্যসরকার।।

এমনিতেই পশ্চিমবাংলা ছুটির রাজ্য ।। পরপর দুই দিন ছুটি গেছে। আজ খুলেছে সরকারি দপ্তর।।। এবার সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের কত টাকার চেক ইয়েস ব্যাঙ্কে পড়ে আছে তা খাদ্যদফতরের কাছে জানতে চাওয়া হবে।। নিজের উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে এমনিতেই কৃষকরা নাজেহাল হয়ে যায়।। যদিও তা হলো এবার সরকারের থেকে পাওয়া চেক ভাঙাতে গিয়ে ক্যাশ টাকা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।। কিন্তু এসব দূর্দাশার কথা ছেড়ে যে প্রশ্ন উঠে এসেছে তা হলো রাজ্যসরকার কেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছেড়ে কার বুদ্ধি যে বেসরকারি ইয়েস ব্যাঙ্কে টাকা রাখল?

কৃষকদের উৎপাদিত ধান সহায়ক মূল্য দিয়ে সরকার কিনেছে।সি পি সি মারফত খাদ্য দফতর নিজেরাই ধান কিনেছে।ধান কেনার পর ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।। মুশকিল হলো পাওয়া চেক কৃষকরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারছেন না। আবার স্বাভাবিক ভাবেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকও ফিরিয়ে দিচ্ছে কৃষকদের।।

খাদ্য দপ্তর সুত্রের খবর অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ চার জেলার কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিয়ে ইয়েস ব্যাঙ্ক এর চেক দেওয়া হয়েছে।। সেই চেক ভাঙাতে না পেরে সিপিসি ও সমবায়গুলির কাছে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।।খাদ্য দফতর প্রায় ৪২ কোটি টাকা ধান কেনার জন্য ইয়েস ব্যাঙ্কে আমানত রেখেছে।। এখন টাকা কবে আসবে তা কেউ জানে না।। দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন যে এই পুরো বিষয়টি নবান্ন ও খাদ্যদফতর তত্ত্বাবধানে হয়েছে কিন্তু বিপদে পড়েছে গরীব কৃষক কুল।। গত চারদিন আগে কাকদ্বীপ মহকুমার কৃষকরা ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক নিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক দেখে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক।।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খাদ্যদফতরের নিজস্ব ৩০ টি ধান কেনার কেন্দ্র আছে।।ধান কেনার প্রথম থেকেই কৃষকদের ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক দেওয়া হয়।। কিন্তু ব্যাঙ্কে লালবাতি জ্বলার পর থেকেই সিপিসি যে ধান কেনা বন্ধ রেখেছে।।গত ৭ ই মার্চ সব জেলাকে জানানো হয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বিলি হওয়া চেক ফেরত আনতে হবে।। কিন্তু এর মধ্যে যে কৃষকরা ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক জমা করেছেন এবার তাঁদের কি হবে???

সমবায় সমিতি গুলো জানিয়েছেন গত দুই বছর ধরে কৃষকদের ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং এইচ এফডিসি ব্যাঙ্কের চেক দেওয়া হয়।। কেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছেড়ে বেসরকারি ব্যাংকে সরকার আমানত করছে সেটাই একটা বড়সড় প্রশ্ন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।