জেলা রাজ্য

কোভিড এ্যাম্বুলেন্স চালককে মারধর করে কাজ ছাড়তে চাপ, অভিযোগরাজ্যের শাসকদলের স্থানীয় কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে।


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ: ৪ঠা জুনঃ- ফের বিতর্কে তৃনমুল পরিচালিত ধূপগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ দে এবং তার অনুদের বিরুদ্ধে। এবার কোভিড এম্বুলেন্স চালককে কাজ ছাড়ার জন্য মারধর করার অভিযোগ উঠলো শাসকদলের এই কাউন্সিলর ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাতে। ওই এম্বুলেন্স চালক অভিযোগ করেন অরূপ দে ও তার অনুগামীরা তাকে বহুদিন থেকে ধূপগুড়ি থানার কোভিড এম্বুলেন্স চালাতে মানা করে। তাকে এও বলা হয় যদি এই এম্বুলেন্স চালায় তবে এই পাড়ায় থাকা যাবেনা।এরপর গতকাল রাতে যখন এম্বুলেন্স চালক প্রসেনজিৎ দাম কাজ সেরে বাড়ি ফেরে তাকে ঘিরে ধরে অরূপদের অনুগামীরা। এরপর অরূপ দে সেখানে উপস্থিত হলেই তাকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। সেই সাথে কাজ ছাড়তে চাপ দেওয়া হয়। এমনকি এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে এলাকা ছাড়া করার ও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন প্রসেনজিৎ দাম।

একদিকে করোনা আক্রমনের যুদ্ধের সামনের সারিতে থেকে লড়াইয়ের জন্য দেশের তামাম চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মিদের প্রেরণা দিতে তাদের সম্মান জানাতে থালা বাজানো হলো দিয়া জ্বালানো হেলিকপ্টারে ফুল ছড়ানো হলো, অথচ সেই চিকিৎসা কাজে যুক্ত করোনা রোগী বহনের অপরাধে এক এম্বুল্যান্স চালককে বেধরক মারধোর করে আহত করা হ’ল। ।

যদিও এই ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অরূপ দে বলেন,ওই যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পাড়ার একটি বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর পাড়ার লোকেরা তার কাছে অভিযোগ করায় তিনি উপস্থিত হয়ে দুইপক্ষকে সরিয়ে দেন।কোনো মারধর করার ঘটনা ঘটেনি।উল্টে তিনি বলেন ওই এম্বুলেন্স চালক কোভিড এম্বুলেন্সটি নিজের বাড়িতে রাখতো, এই নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীর আপত্তি ছিলো। এই কারণে অনেকেই এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।কিন্তু মারধর করার ঘটনা ভিত্তিহীন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ধূপগুড়ি থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।প্রহৃত চালক বলেন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি বলেন, তাঁর পেশা এম্বুল্যান্স চালানো মানুষের বিপদে দাড়ানো আমার কাজ কি করে এই কাজ ছেড়ে দিই। তিনি প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছেন সুবিচারের জন্য।

উল্লেখ্য অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একের পর এক মারধোর করা হুমকি দেওয়া সহ নানা রকমের অভিযোগ উঠলেও শাসক দল নির্বিকার। এমনকি দলের অন্দরে এবং দলের কাউন্সিলরদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কে অভিযোগ করেছেন।বে আইনি ভাবে জলাশয় ভরাট করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল করার বিরুদ্ধে এক কাউন্সিলরের স্বামী দলের যুব নেতা হাই কোর্টে মামলা করলেও দল কোন ব্যবস্থা নেয়নি এই মাশল ম্যান নেতার বিরুদ্ধে।স্বনামে পরিবারের সদস্যদের বেনামে তার ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়েও কথা চালু আছে কাজ না করে বিল তুলে নেওয়া এসব অভিযোগ বেশ কয়েকবার উঠেছে।এদিনের এই ঘটনা নিয়েও শহরবাসি অনেকে সরব।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।