সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৫শে জুন:- বুধবার রাজ্য সরকারের ডাকা এক সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন বামফ্রন্ট নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এবং ডঃ সুজন চক্রবর্তী। অন্যান্য প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতারা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আইলা ঝড়ে যখন বিধ্বস্ত বাংলা তখন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ,তখনও ডাকা হয়েছিল সর্বদলীয় বৈঠক।। অন্যান্য অনেকেই উপস্থিত ছিলেন, ছিল না শুধু তৃনমূল কংগ্রেস।। পার্থক্য তো থাকবেই, সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সিপিআই(এম) এর রাজ্যসম্পাদক সূর্য মিশ্র ও পরিষদীয় দলনেতা কমরেড ডঃ সুজন চক্রবর্তী স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবেলা ও আমফান পরিস্থিতিকে সামাল দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমুল সরকার সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ।। সরকারের ব্যর্থতার দায়ে মানুষ আজ চরম বিপাকে পড়েছেন।।নবান্নের সর্বদল বৈঠকে এ দিন প্রত্যাশিত ভাবেই বাম, ও কংগ্রেসের নেতারা ঘূর্ণিঝড়ের পরে ত্রাণ বিলি ঘিরে দলবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন।
বামফ্রন্ট নেতৃত্ব অত্যন্ত কড়া ভাষায় মমতা ব্যানার্জি সরকারের সমালোচনা করে বলেন যে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার যখন করোনা সংক্রমণের জেরে মাত্র চার ঘন্টার নোটিশে একটা অপরিকল্পিত লকডাউন ঘোষণা করলো তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার টেলিভিশনে পরিযায়ী শ্রমিকসহ বাঙলার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বড় বড় প্রকল্প ঘোষণা করে গেছেন। তারপর এলো আমফান ঘূর্ণিঝড়ের এর মারাত্মক তান্ডবে পশ্চিমবঙ্গের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি হয়। মমতা ব্যানার্জি সরকার করোনা সংক্রমণের মতো টেলিভিশনে দু’মিনিট পর পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকার , তাদের গৃহনির্মাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবিরাম প্রচার করে গেছেন।শুধু বিজ্ঞাপন, কাজ কিছুই হয়নি।
এই সর্বদলীয় বৈঠকে মমতা ব্যানার্জির প্রচার খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে। মমতা ব্যানার্জির কথা অনুযায়ী রাজ্যে অনেক সুপার স্পেটালিটি হাসপাতাল আছে।। অথচ এই সঙ্কটের সময় সেগুলো যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের যে টাকা পাওয়ার কথা সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের তৃনমুল নেতাদের পকেটে ঢুকছে । এই প্রশ্নের আক্রমণে মমতা ব্যানার্জি খানিকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েন এবং খানিকটা সাফাই গাওয়ার মতো করেই সর্বদলীয় কমিটি গঠন করার কথা বলেন।। অত্যন্ত চাঁচাছোলা ভাষায় কমরেড সূর্য মিশ্র ও সুজন চক্রবর্তী বলেছেন প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে করা হয়েছিল তার একটিও প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায় নি।
যার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিপন্ন মানুষের বঞ্চনা বা ত্রাণে দলবাজি সহ্য করা হবে না। সরকারি ক্ষতিপূরণ থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের যাঁরা বাদ গিয়েছেন, নতুন করে তাঁদের তালিকাভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক শিবিরের মতে, আমপান-ক্ষতিপূরণের অপব্যবহার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি তা স্বীকার করে পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। করোনা ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় সমস্যার কথাও উঠেছিল এ দিনের বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী ফের আবেদন করেছেন, করোনা ও অন্য রোগের চিকিৎসায় সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালকেই একই রকম নজর দিতে হবে। চিকিৎসার অভাবে কেউ যেন বিপন্ন না হন।