বিনোদন রাজ্য

১৪২৫ এর আনন্দ পুরস্কারের দাবিদার তিন বাংলা উপন্যাস


মল্লিকা গাঙ্গুলি, চিন্তন নিউজ, ২১ এপ্রিল: সময় চেতনার তিন দিকপাল। যার মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ দীপেশ চক্রবর্তীর নতুন উপন্যাস “মনোরথের ঠিকানা”(অনুষ্টুপ) শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপেশবাবু বাংলার শ্রমিক জনজীবনের ইতিহাস চেতনা থেকে পরিবেশ দূষণ সব নিয়েই ভেবেছেন। তিনিই তৈরি করেছেন বাংলা ভাষার নতুন শব্দবন্ধ “উত্তর সাক্ষর সমাজ”, যে সমাজে সবাই সাক্ষর কিন্তু বই পড়ে না, তারা সিনেমা টিভির পর্দায় ইতিহাস দেখে! নতুন বইয়ে লেখকের স্পষ্ট বক্তব্য- “অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক, আমরা সর্বশেষতম অধিকার চাইব মানুষের জন্য।”
দ্বিতীয়, নলিনী বেরার “সুবর্ণরেনুর সুবর্ণরেখা” ।(দে’জ)। নলিনীবাবুর উপন্যাসকে এক সময় আঞ্চলিক তকমা সেঁটে দেওয়া হতো। আজ স্বীকৃত যে সাহিত্যকে নাগরিক- আঞ্চলিক,  কেন্দ্র-প্রান্ত ভাগ করা যায় না! ভূমিজ সাঁওতাল, মাহাতোরা দল বেঁধে কোদাল গাঁইতি কাঁধে চলে রিলিফবাঁধের দিকে; শেষ বিকেলের ঘূর্ণি হাওয়ায় হুড়হুড় করে ঢুকে পড়ে “বিড়োল বাঁও” আর এগিয়ে চলে নলিনী বেরার নতুন উপন্যাস…।      
এবার আসা যাক ৩ নম্বরে । কলকাতার নগরকীর্তনের বাইরে ত্রিপুরায় বসে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান কে নিয়ে লেখা এক অসাধারণ উপন্যাস যেন সতীনাথ ভাদুড়ী, শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের ভুলে যাওয়া ঐতিহ্য কে স্মরণ করিয়ে দেয়, সন্মাত্রানন্দের নতুন উপন্যাস “নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটে” (ধানসিড়ি)। 
যে উপন্যাসের পাতায় পাতায় বাংলাদেশের বজ্রযোগিনী গ্রাম থেকে বিক্রমশীলা, নালন্দা, তিব্বতের থোলিং মহাবিহার থেকে কলকাতায় গড়িয়াহাট এক অদ্ভুত জাদুতে অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব একাকার! মোদি অমিত শাহ্ এর ভারত কি বিচার করবে তা পরের কথা, আপাতত ১৪২৫ এর আনন্দ পুরস্কার তালিকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে উন্নীত এই তিনটি বাংলা উপন্যাস। শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা যেটিই পাক, বাংলা সাহিত্যের মুকুটে সেটি নিঃসন্দেহে হীরের দ্যুতি!!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।