রাজ্য

বিশিষ্ট জনদের আইনি লড়াই শুরু হলো সফিকুলদের গ্রেফতারীর প্রতিবাদ….


মীরা দাস: চিন্তন নিউজ:৩রা জুলাই:- আরামবাগ টিভি ইউটিউব চ্যানেল এর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আলিয়া খাতুন ও আর এক সাংবাদিক সবুজ আলি খানকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তুললেন সুপ্রীম কোর্টের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি থেকে, প্রাক্তন উপাচার্য, চিত্রপরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, এমনকি পূর্ব যে যে সমস্ত ব্যক্তি রাজরোষের শিকার হন বা হয়েছেন সেই সব ব্যক্তিরাও, যেমন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, পবিত্র সরকার, অশোক নাথ বসু, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, তরুন মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অম্বিকেশ মহাপাত্রসহ বিদ্বজনরা সফিকুলদের পুলিশ হেফাজত থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় তাঁরা লিখেছেন ” চুরি ডাকাতি, ধর্ষন, বা খুনের মতো কোনও অভিযোগ নয় শুধুমাত্র সরকারের কাজের সমালোচনা মুলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য যে ভাবে বাড়ী ঘিরে দরজা ভেঙ্গে, শিশু সন্তান সহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তা গনতন্ত্র এবং সংবিধানের পক্ষে বিপদজনক।

এপ্রিল মাসে ইউটিউব চ্যানেলে একটি খবরে দেখানো হয় লকডাউনের মধ্যে থানা থেকে ক্লাব গুলিকে চেক্ বিলি করা হয়। এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পরেই সফিকুলের ওপর পুলিশ চাপ দিতে থাকে এবং কোথা থেকে ভিডিও ফুটেজ পেয়েছেন সেটা জানানোর জন্য চাপ দেওয়া। সফিকুলের দাবি যে ক্লাব গুলির নাম দেওয়া হয়েছে তার অস্তিত্বই নেই।

প্রসঙ্গত ২৯ জুন আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরজ এবং সফিকুলের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের হয়। আরামবাগ টিভির বিভিন্ন খবরের জেরে প্রশাসনের উপর মহলের তোলপাড় হয় তার জন্যই তাদের জেলে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই তাদের মুক্তির জন্য আইনি লড়াই এ নেমেছেন তাঁদের আইনজীবিরা ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।