নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১০ই অক্টোবর:–সিপিআইএম দলটির অস্তিত্ব আছে কি নেই এ নিয়ে সারাদেশে জল্পনার সীমা নেই। বিশেষ করে ২০১৯এর লোকসভা ভোটে যখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটিও সিপিআইএম তথা বাম সাংসদ নেই, যা কি না স্বাধীনোত্তর ভারতে প্রথম।সিপিআইএম দলের কর্মী সমর্থকদের বক্তব্য তারা আন্দোলনে আছেন। তবুও রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারি দল যুগলের মতে সিপিআইএম তথা বামেরা তাদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।সেই সিপিআইএম এরকম প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যজুড়ে এমনকি দিল্লির বুকেও মার্কসীয় প্রগতিশীল বইএর সম্ভার নিয়ে স্টল করেন। এবং সেই বই বিক্রি করে প্রায় দু’কোটি টাকা ।
সারা রাজ্যে প্রায় ১১০০টি বুকস্টল হয়েছিল। যাতে বুধবার পর্যন্ত বই বিক্রি হয়েছে। কলকাতার বুকে নেতাজীনগর বুকস্টল থেকে এক এক দিনে প্রায় এক লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।এভাবেই সর্বমোট বই বিক্রি হয়েছে দু’কোটি টাকার।
এবার পুজোতে আরামবাগ, হরিপাল,গোঘাটের মত সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতেও বুকস্টল হয়েছে। সিপিআইএম পার্টি পরিচালিত প্রকাশনা সংস্থা এনবিএ’র বই সবচেয়ে বেশী বিক্রি হয়েছে। চীনের বিষয় নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের লেখা ‘স্বর্গের নীচে বিশৃঙ্খলা’বইটির দ্বিতীয় সংস্করণও শেষ হয়ে গেছে।
বিভিন্ন মহলে মার্কসীয় বুকস্টল থেকে এত প্রগতিশীল বই বিক্রি নিয়ে আলোচনা চলছে। অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া দলের বইএর সম্বন্ধে মানুষের এত আগ্রহ নিয়েও সব দলই সমীক্ষায় বসেছে। বসেছে সিপিআইএম’ও।
সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন,মানুষ মার্কসীয় বই পড়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন।কারণ মানুষ আদর্শের খোঁজ করছেন।
এই মার্কসীয় বুকস্টল খোলা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।তা সত্ত্বেও সিপিআইএম এর উচ্চ নেতৃত্ব থেকে সাধারণ কর্মী এক প্রত্যয় নিয়ে বুকস্টল খুলেছেন এবং শ্রম দিয়েছেন। এতে করে মানুষের আগ্রহ আরও বেড়েছে বলে বিশিষ্ট মহলের মতামত।