সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৮ ই জানুয়ারি:- সিপিআইএম এর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল মেদিনীপুর জেলার কেশপুর। একটা সময়ের পর সেই কেশপুরে সিপিআইএম এর ঘাঁটিতে থাবা বসিয়েছিল তৃনমুল কংগ্রেস।। তারপর পালাবদল। ২০১১ তে তৃনমুল কংগ্রেস সরকার গঠন করে পশ্চিমবঙ্গে। গনতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বদলে যাওয়া একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি সরকার গঠন করলেন নানারকম অসৎ উপায়ে মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে।কেশপুর তার ব্যাতিক্রম হলো না। বিভিন্ন সিপিআইএম নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ী ছাড়া করলো শাসকদল। ২০১১ সালের পর থেকেই অধিকাংশ নেতাকর্মী বাড়ীর বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।। তাঁরা অনেকেই মেদিনীপুর জেলার বাইরে গিয়ে বসবাস করছিলেন।।
অত্যাচার এর মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে সিপিআইএম নেতাকর্মীরা কেউ মারা গেলে তাদের স্মরণসভার আয়োজন পর্যন্ত করতে পারা যাচ্ছিল না। এবারের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃনমুল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে ছিল।। তারপর করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দাপট এবং তারপরে লকডাউন ,আমফান ঝড় এবং তার জন্য ঐ অঞ্চলের মানুষের ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া , সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা , আর তাদের অত্যাচারে মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছিল। এখন তৃনমুল কংগ্রেস সরকার খানিকটা হলেও কোনঠাসা কারণ তারা মানুষ এর দূর্ভোগ কমাতে কিছুমাত্র কাজ করেনি।আর এই সময়ে সিপিআইএম কিছুটা হলেও তাদের শক্তি বাড়াতে পেরেছে।। অনেক নেতাকর্মীরা বিনা বাধায় নিজের বাড়ীতে ফিরেছেন। সিপিআইএম নেতা কর্মীরা এখন নিজের দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারছেন।
দীর্ঘদিন পর কেশপুরে দলীয় কার্যালয় জামশেদ ভবন খুলেছেন সিপিআইএম নেতা কর্মীরা এবং সেখানে বেশ কয়েকশো দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত করা হয়।। এও বলা হয় যে এখন থেকে এই জামশেদ ভবন দিনরাত সবসময় খোলা থাকবে।।গত আট বছরে যে ছয় নেতার মৃত্যু হয়েছে তাঁদের স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।। এদিন বিকেল থেকেই লাল পতাকায় ভরে যায় কেশপুর। জেলা সভাপতি তরুণ রায় ঘোষণা করেছেন এতদিন তৃনমুল কংগ্রেসের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দলীয় কর্মীরা দলের কাজ করতে পারেন নি। কিন্তু সরকারের দূর্নীতি ও অপশাসনের ফলে সরকার খানিকটা হলেও দূর্বল হয়েছে এবার সিপিআইএম নেতা কর্মীরা দাপিয়ে সংগঠন ও মানুষের জন্য কাজ করবে।