চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১১ই সেপ্টেম্বর:–তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম ,
পুরষ্কার মঞ্চেই অকপট সাংবাদিক রবীশ কুমার।।
ভারতের সংবাদ মাধ্যেমের উপর রয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপ।ইতিমধ্যে ই ব্লগ লেখার কারনে এবং নির্ভীক সংবাদ পরিবেশনের কারনে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে ভারত তথা ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাঙলাদেশের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে।
গত সোমবার ম্যানিলায় আরও চারজনের সঙ্গে এই বছরের ম্যাগসেসে পুরষ্কারেে ভূষিত হন সাংবাদিক রবীশ কুমার।এন ডি টিভির ম্যানেজিং এডিটর রবীশ কুমার সেরা সাংবাদিক হিসেবে এই বিরল সম্মান লাভ করেন।এইদিন সেই সম্মাননা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।এই সম্মানকে এশিয়ার নোবেল পুরষ্কার এর সঙ্গে তুলনা করা হয়।
এদিন তিনি বলেন ভারতের সংবাদ মাধ্যম তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছে।তবে এটা কোন আকষ্মিক ঘটনা নয়,বরং সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল ।এছাড়াও অবরুদ্ধ কাশ্মীরের সঙ্কট জনক পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যেমের একপেশে ভুমিকার ও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।ভারতের সংবাদ মাধ্যম যেভাবে সরকারের তাঁবেদারে পরিনত হয়েছে এবং রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মিথ্যা জ্ঞান ও তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করছে সে ব্যাপারে উদ্বেগ তার আলোচনায় চাপা থাকেনি।
তিনি আরও বলেন গ্রাম ও শহরের মধ্যে তথ্য ও জ্ঞানের বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।অসাম্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে নয় অসাম্য রয়েছে জ্ঞানের ও।এক্ষেত্রে তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত মিথ্যা প্রচারের ও ফেক্ নিউজ ছড়ানোর বিপদকে ‘হোয়াটস আপ ইউনিভার্সিটি’ এই শব্দবন্ধনীতে ব্যখ্যা করেন।মিডিয়া যদি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী বলে তিনি মনে করেন।
এই আনন্দের দিনেও তাকে দুঃখ প্রকাশ করতে হচ্ছে এই ভেবে যে তিনি যে পেশায় রয়েছেন তার করুন অবস্থা দেখে।তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে ,যেভাবে প্রানের ও ক্যারিয়ারের ঝুঁকি নিয়ে কিছু কিছু নির্ভীক সাংবাদিক সত্য অনুসন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসার যোগ্য।বিশেষত কিছু কিছু তরুণ সাংবাদিক সংগঠিত সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে লড়াই চালাচ্ছেন ও কর্তৃপক্ষের মুখের উপর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন তা অত্যন্ত আশাপ্রদ।বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেইসব সাংবাদিক কাজ হারাচ্ছেন, কিন্তু কর্পোরেট সংস্থা গুলিকে কোনো জবাবদিহি করতে হচ্ছে না।
কাশ্মীরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখনও অবরুদ্ধ কাশ্মীর, ইন্টারনেট বন্ধ।অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম কে দাঁড়াতে হচ্ছে সরকারের সঙ্গে, কিন্তু এখনও কিছু সংবাদ মাধ্যম সত্য সংবাদ করার সাহস দেখাচ্ছে ও সরকার পোষিত ভয়ংকর ট্রোল বাহিনীর সামনে পড়ছে।
সংবাদ মাধ্যম গনতন্ত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।তা যদি আক্রান্ত হয় মানুষের অধিকার খর্ব হয়।এই পরিস্থিতিতেও ভারতের পাঠক ও দর্শক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সত্যবাদিতা ও বিভিন্ন মতামতের বৈচিত্র্যর গুরুত্ব বুঝবে কারন গনতন্ত্র তখনই শক্তিশালী হবে যখন সংবাদ ও তথ্য সত্যনিষ্ঠ হয়।সব লড়াই জেতার জন্যে নয়,কিন্তু আমরা যেন বলতে পারি লড়াইয়ের ময়দানে কেউ কেউ ছিল,ময়দান ফাঁকা ছিল না।