জেলা

সর্বভারতীয় সধারণ ধর্মঘট ও কিছু কথা — কলকাতা জেলা



চিন্তন নিউজ :২৭/১১/২০২০—-শ্যামল—- গতকাল ২৬ নভেম্বর ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সাত দফা দাবীর ভিত্তিতে সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। সমস্ত বাম রাজনৈতিক দল ও কংগ্রেসের পাশাপাশি বাম গণতান্ত্রিক গণ-সংগঠনগুলিও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এর প্রস্তুতি ছিল, ছিল প্রচার। অবশ্যই এই সমস্ত প্রক্রিয়ার একটা পর্যালোচনা প্রয়োজন। এই কথাও সত্যি যে এই মুহুর্তে সামগ্রিক পর্যালোচনা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রাথমিক পর্যবেক্ষনের উপর ভিত্তিতে একটা পর্যালোচনা অবশ্যই করা যায়।
প্রত্যেকটা আন্দোলনের একটা প্রক্রিয়া থাকে। সেই প্রক্রিয়া শেষে একটা চূড়ান্ত পর্যায় থাকে। তার মানে এই নয় যে এই চূড়ান্ত পর্যায় মানে আন্দোলন শেষ নয়। বৃহৎ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই আন্দোলনের পর্যালোচনা থেকেই শুরু হবে পরবর্তী আন্দোলন। সারা দেশে গতকাল ২৫ কোটি শ্রমিক ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন।
আমাদের রাজ্যের দিকে তাকানো যাক। আমরা বৈদ্যুতিন চ্যানেলের মাধ্যমে কী দেখলাম? আমরা সকাল থেকেই দেখেছি যে লড়াকু মনোভাব নিয়ে ধর্মঘট প্রচার হয়েছিল। সেই লড়াকু মনোভাব নিয়েই মূলত বামপন্থীরা ধর্মঘট সফল করতে পথে নেমেছিল। একটা কথা অনস্বীকার্য যে দেশের মানুষ, রাজ্যের মানুষ চাইছিল কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে এক লড়াকু প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। বৈদ্যুতিন চ্যানেলের মাধ্যমে যখন এই লড়াকু দৃশ্য মানুষের সামনে আসছিল। তখনই অদ্ভুতভাবে বৈদ্যুতিন চ্যানেলের চিত্র পালটে গেল। মাঝেরহাট ব্রিজ অবিলম্বে খোলার দাবীতে বিজেপি তারাতলা মোড়ে বিক্ষোভের ছবি ভেসে উঠলো। এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পূর্ব ঘোষিত নয়। কৈলাশ বিজয়বর্গী অন্য কর্মসূচী বাতিল করে সেইখানে উপস্থিত হন। ধর্মঘট সমর্থনকারীদের উপর পুলিশী আক্রমনের চিত্র আড়ালে করে দেওয়া হলো। আপনারা অনেকেই জানেন যে কোভিড পরিস্থিতির জন্য সব রুটেই ৫০ শতাংশ বাস চালানো হচ্ছিল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে প্রায় সব রুটেই অফিস সময় ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ বাস চালানোর নির্দেশ যায়। বিভিন্ন অটো রুটেও আটোচালকদের জোর করে অটো চালাতে বাধ্য করা হয়। শহরের প্রায় ৬০ শতাংশ হকার আজ দোকান খোলেন নি। বেলা ১টার পর থেকেই রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে যায়। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে আন্দোলনটা শুরু হতে চলেছে।
আন্দোলনের সফলতা শুধুমাত্র অচলতা দিয়ে বিচার হয় না। কত মানুষের কাছে আন্দোলনের বার্তা পোঁছতে পারলো ও কত মানুষ আন্দোলনের সমর্থনে এলো সেটাই আন্দোলনের সফলতা। আজকের ধর্মঘট সেই সূচনা করেছে।

অনুপ পাত্র জানাচ্ছেন, মানুষের দাবী নিয়ে ধর্মঘট, পথে লালঝান্ডা। অবরোধ ঠাকুরপুকুর বাজারে ,মিছিল ও অবস্থানের খন্ড চিত্র।

অচ্যুত চক্রবর্তী জানিয়েছেন – ঢাকুরিয়াতে করলেন অবরোধ করে বামপন্থী দলগুলোর কর্মীরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।