রাজ্য

তিনদিনের মৃত শিশুর কর্ণিয়া দান করে অনন্য দৃষ্টান্ত রাখলেন অন্ডালের দম্পতি।


শাশ্বতী ঘোষাল: চিন্তন নিউজ: ৬ই আগস্ট:–তিন দিনের শিশুর কর্নিয়া দান করলেন দম্পতি।
জন্মের মাত্র তিনদিনের মাথায় শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হলো অণ্ডাল নর্থ বাজারের বাসিন্দা অরুণ পান ও দীপান্বিতা পানের শিশুপুত্রের। গত শুক্রবার ২রা অগস্ট দূর্গাপুর মিশন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে শিশুটি। জন্মের পর থেকে ই শ্বাসকষ্টে ভুগছিল এই সদ্যোজাত। রবিবার তার মৃত্যু র পর সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের জন্য মৃত শিশুটির কর্ণিয়া দান করলেন এই দম্পতি।
শিশুটির পিতা অরুণ পান একজন রেলকর্মী। তাঁর স্ত্রী দীপান্বিতা পান শুক্রবার এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তারপরই তিনি চিকিৎসকরা জানান অ্যামোনিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক তৈরি হচ্ছে না শিশুর শরীরে। বাঁচার সম্ভাবনা কম। এরপর চিকিৎসকদের যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও রবিবার শিশুটির মৃত্যু হয়। অরুণ পান জানান ঐ সময় তাঁরা অত্যন্ত যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় থাকলেও ছেলের কর্ণিয়া দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কারণ তাঁর সন্তানের চোখ দিয়ে অন্য কোনো দৃষ্টিহীন শিশু এই পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পাবে। এটাই তাদের সন্তুষ্টি দেবে। খবর পেয়ে দূর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির সদস্যরা হাসপাতালে সব ব্যবস্থা করেন। সফল ভাবে কর্ণিয়া সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়।পরে তা কোলকাতা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। দূর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয় শিশুর কর্ণিয়া সংগ্রহ ভারতে এই প্রথম। এর আগে এগারো দিনের শিশুর কর্ণিয়া সংগ্রহের রেকর্ড আছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গণদর্পণের তরফ থেকে সম্পাদক শ্যামল চ্যাটার্জী এই দম্পতি কে অভিনন্দন জানান। এসএসকেএম হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডক্টর অমিতাভ রায়চৌধুরী বলেন, “এখন কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বয়স বাধা নয়। শিশুটির বাবা মা যা করেছেন চক্ষুদান আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তা প্রশংসনীয়। “


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।