দীপ্তেশ মুখার্জী, চিন্তন নিউজ:৭ই মে:- প্রান্তিক মানুষ গুলো যারা দু’ মুঠো খাবারের টানে কলকাতা ও শহরতলী অঞ্চলগুলিতে এসে থাকতো, পরিবার ,মা ,বাবা,স্ত্রী ,ভাই ,বোন সকলের মুখে হাসি ফোটানোর তাগিদে।।। সরকারি লকডাউন তার ফলে তাদের আটকে পরা ,মালিক পক্ষ সাময়িক দায়িত্ব পালন করলেও তারাও ছেড়ে দিয়েছেন ,প্রশাসন সরকার যখন মদের দোকান খোলে তখন এরা ঐ লাইনে দাঁড়ায় না ,এরা দাঁড়াতে বাধ্য হয় খাবার এর লাইনে ।।সরকারি নিয়ম ,আইন কানুন সব কিছু থাকে একদিকে তারই মাঝে উড়োজাহাজ এ করে ফেরে সাংসদ জয়া থেকে শাসক দলের ভাড়াটে পরামর্শ দাতা রা।।এই শ্রমিক যারা প্রান্তিক তাদের উড়োজাহাজ নেই ,সম্বল তাদের পা ।। তপ্ত পিচের রাস্তায় হেঁটে চলা দুই পা ।কেউ নির্মান শ্রমিক, কেউ মাটি কাটার কাজ করেন কেউ বা দিন মুজুর।। আধপেটা পেটে রাতের অন্ধকার শেষ হতে না হতেই তারা বেরিয়ে পরেছেন বাড়ির ঠিকানায় ,না কোন সরকারি সহযোগিতা নেই উল্টে আছে রাষ্ট্রের লাঠি।। অসহায়তা কি হয় তার বর্ণনা এই লেখায় দেওয়া সবটা সম্ভব না ।। কেউ যাবেন ঝাড়খণ্ড ,কেউ বীরভূম কেউ বা বর্ধমান ,হ্যাঁ পায়ে হেঁটেই।। আর এই মানুষ গুলোর সাধ্যমত পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে সিঙ্গুর ডিওয়াইএফআই।,অনেকে বলে সিপিএম এর যুব সংগঠন ,হ্যাঁ আমরা তারাই ।
সিঙ্গুরের খাসেরচক বেলতলায় ছোট্ট ক্যাম্পের মাধ্যমে সামান্য কিছু সুরাহার ব্যবস্থা।। সিঙ্গুরের সমস্ত যুব ফেডারেশনের কর্মীদের ,সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক সময় নিয়ে তা যথাযথ কার্যকর করার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। আগামী দিন আবার থাকবে এলাকার অধিকাংশ যুব সম্প্রদায়ের মানুষ ওদের পাশে যারা শ্রমিক ,কৃষক ,প্রান্তিক মানুষ গুলোর কথা বলেন । ভোটের শতাংশ ,আসন সবটাই তুচ্ছ এই মুহূর্তে এখন একটাই কাজ মানুষের পাশে থাকা।।। সিঙ্গুর ডিওয়াইএফআই এর আবেদন সবাই এগিয়ে আসুন। যদি রাস্তায় না নামতে পারেন তাহলে এখবর ছড়িয়ে দিন যাতে আরও অনেক সহৃদয় মানুষ এই মানুষ গুলোর জন্য এগিয়ে আসেন।