জেলা রাজ্য

দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস এলাকার গোরামোড় রেলগেট দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষদের।


মিঠুন ভট্টাচার্য:চিন্তন নিউজ:১০ই জুন:- বেলাকোবা হয়ে আমবাড়ি কিংবা ফুলবাড়ী ১ নং অঞ্চলের পূর্ব দিক অথবা আরও কিছু বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শিলিগুড়িতে ঢোকার একমাত্র পথ শিলিগুড়ি শহরের দক্ষিণ পূর্ব দিকের এই একমাত্র রেলগেট , কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় ঠিক তিন কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনের মতন গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন যার দরুন এই গোরামোড় লেভেল ক্রসিং দিনের প্রায় বেশিরভাগ অংশই থাকে বন্ধ অবস্থায় , বেশিরভাগ সময় রেল গেটের দু’পাশে আধ কিলো মিটার – এক কিলোমিটার এর বেশি ও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় মানুষকে বাইক , টোটো , পুলকার , ট্রাক তো বটেই অ্যাম্বুলেন্স কেউ। বছর আটেক আগে ভারতীয় রেল একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল বলে জানা যায় যেসব জায়গায় লেভেল ক্রসিং আছে সেসব জায়গায় কর্মী সংকোচন ও ব্যয় কমাতে জেল শুরু করে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ , উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় অনেক অখ্যাত গ্রাম কিংবা এমন কিছু লেভেলক্রসিং রয়েছে যেখানে মানুষের যাতায়াত তুলনামূলকভাবে অনেক কম তার তুলনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনের কাছাকাছি লেভেলক্রসিং গুলো এবং শহর লাগোয়া হওয়াতে মানুষের যাতায়াতের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি তবুও কোন এক অজানা কারণে এই গোড়ামোড় এর মতো লেভেল ক্রসিং গুলোতে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ শুরুই করা যায়নি।

এ বিষয়ে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাব গ্রাম 2 নং অঞ্চল এবং ফুলবাড়ী ১ নং অঞ্চল যাদের সীমানায় অবস্থিত এই লেভেলক্রসিং সেই অঞ্চল দ্বয়ের পক্ষ থেকেও কোন কার্যকরী ভুমিকা নেওয়া হয়েছে বলে কোন খবর নেই , নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় এই এলাকায় রাজনৈতিক দলাদলি , ১০০ দিনের কাজের ভাগ-বাটোয়ারা দুর্নীতি , কিংবা লুটে খাওয়া যাসনি তুই যতটা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছে তার বিন্দুমাত্র যদি নাগরিক আন্দোলন এবং জনগণের চাহিদা নিয়ে জনপ্রতিনিধি এবং নেতারা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করতেন তাহলে এই লেভেলক্রসিং তৈরীর কাজ অনেক আগেই শুরু হতে পারতো।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।