সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৮শে সেপ্টেম্বর:–বনধ্ এর প্রচার এ গ্রাম বাংলা বলছে ফিরিয়ে দাও সেচের সুবিধা । ঝাড়খন্ডের পাহাড়ী বাঁশনদী।। এই নদী দুমকা জেলার পাহাড় থেকে বেরিয়ে পশ্চিম বাংলার মুরারই ১-২ ব্লকের বুকচিরে মিশেছে গঙ্গা নদীতে।। রাজ্যে এই নদীর নাম বাঁশলই।।এই নদীর বালি এখানকার ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে থাকেন।। নন্দীগ্রাম,আমডোল ইত্যাদি গ্রাম এই নদীর জলের উপর নির্ভরশীল।। সেচের জন্য এখানকার কৃষকরা এই নদীর জলের উপর ভরসা করে থাকেন।।
কৃষক রওসন আলি জানান বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সরকারি উদ্যোগে সেচের ব্যবস্থা ছিল।। এখন তা দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।। এখন পাম্পসেট দিয়ে কৃষকদের নিজেদেরই সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।। কৃষকদের বক্তব্য নদী তাদের একমাত্র ভরসা।। নদী থেকে মাছ ধরে অনেকেই সংসার চালান।। কয়েকবছর ধরে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে না ফলে নদী ভরাট হতে শুরু করেছে।। খরা যখন চলে তখন অনেকেই এখানে ধান চাষ করে।। সমানে বালি তোলার জন্য মাটি বেরিয়ে গিয়ে খাদের সৃষ্টি হয়েছে।।এইসব এলাকায় বালি আর নেই বললেই চলে।। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান এখন তাদের রুটিরুজির থেকে বড় চিন্তা কেন্দ্রীয় সরকার এর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এন আর সি।।। এই অঞ্চলের মানুষ রা বেশীরভাগ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী।। তাদের দাবি এই নদীতে অবিলম্বে বাঁধ দেবার বন্দোবস্ত করতে হবে।। এটা হলে শুধু এই অঞ্চল না আশেপাশের বহু এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।।
এখানকার কিছু কিছু এলাকা অসেচ এলাকা_সেচের কোন ব্যবস্থা নেই।।মুল সমস্যা সেচ।। কিন্তু তৃনমুল পরিচালিত মুরারই পঞ্চায়েত নীরব দর্শক।। ফসলের দাম নেই।। খোলা বাজারে প্রতি কুইন্টাল ধানের দাম ১৩০০ টাকা।। ধান চাষ করে কৃষকরা তেমন দাম পান না।। সরকারি ঘোষণা ১৭০০ টাকা কুইন্টাল দরে ধান কিনবে সরকার।। কিন্তু কোথায় কিভাবে সেই ধান কেনা যাবে সেটাই জানেন না কৃষকরা।।মুরারই ১ নং ব্লকে কোন কিষান মান্ডি নেই।। এখন সবাই জানতে চায় ধান তারা বিক্রি করবে কোথায়???? সহায়ক মূল্য কৃষক রা পান না।
তাই মানুষ জোট বাঁধছে।। গ্রাম বন্ধ করে দুই সরকার কেই তারা কাঠগড়ায় তুলবেন।। এজন্য ছোট ছোট সভা মিছিল করে গ্রাম বন্ধ এর প্রস্তুতি নিচ্ছে।।।।