রাজ্য

স্তব্ধ কাঁকিনাড়া, অঘোষিত কারফিউ


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৯ জুন: বোমাবাজি, গোলাগুলি অব্যাহত। আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কাঁকিনাড়াতে। কার্যত কারফিউ এর চেহারা নিয়েছে কাঁকিনাড়া। সোমবার ৬ জন আক্রান্ত হবার পর কালকেও ৫ জন আহত। পাঁচ বছরের বাচ্চাও রেহাই পায়নি। পরিস্থিতি ঘোরালো দেখে বাধ্য হয়ে প্রশাসন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি বৈঠক ডাকতে বাধ্য হন।

সোমবার দুপুর থেকে কাঁকিনাড়ার বিভিন্ন এলাকাতে বোম পড়েছে অবিশ্রান্ত। দফায় দফায় বোমা-গুলির লড়াইয়ে আরও পাঁচ জন আহত। নয়া বাজার এলাকাতে এক মাংস ব্যাবসায়ীর চোখ বোমার আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে। একটা শিশু বোমের আঘাতে আহত। এরা সকলেই কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স টহল দিচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কোন শ্রমিক মিল মুখো হন নি। রাস্তাতে বাস, টোটো, অটো কিচ্ছু চলছে না। স্কুল গুলি পুরোপুরি বন্ধ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাটপাড়ার পুলিশ ফাড়িতে সব রাজনৈতিক দলের শান্তি বৈঠক হয়। এই বৈঠকে সি পি আই এম – এর রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চ্যাটার্জী উপস্তিত ছিলেন। ছিলেন শ্যামল ব্যানার্জী। সভা শেষে গার্গী চ্যাটার্জী বলেন সমাজের সমস্থ স্তরের মানুষকে নিয়ে শান্তি মিছিল করা জরুরী।। মানুষের মধ্যে প্রশাসনের উপর যাতে আস্থা আসে তার জন্য প্রশাসনকেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসনের কর্তারা দাবীগুলি মেনে নিয়েছেন এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার নিশান পারভেজ।

কাঁকিনাড়া বাজার এলাকা মূলত শ্রমজীবী মানুষের প্রাণকেন্দ্র। গত একমাস ধরে দুস্কৃতিদের তান্ডবে এলাকার ব্যাবসা, কাজকর্ম সব তলানিতে। গত একমাস ধরে দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা। হিংসার তান্ডবে বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে, লুঠ হয়েছে, আগুন লাগানো হয়েছে। কমঃ শ্যামল মিত্রর বাড়িতে বোম মারা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি ও তার পরিবার।

জুটমিল গুলিও আক্রান্ত এই হিংসার কবলে পড়ে। কোন কাজ হচ্ছে না মিলগুলিতে। মঙ্গলবারও কাজে যাননি শ্রমিকরা। ভয়ংকর পরিস্থিতিতে রয়েছে কাঁকিনাড়া।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।