মাধবী ঘোষ:চিন্তন নিউজ:২রা জুলাই:- বাণিজ্যিক কয়লা খনন চালু করা মানেই দেশের কয়লা শিল্প, এবং এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের ১৯৭২ এর আগের দুর্দশা জনক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া । শ্রমিক বিরোধী মোদি সরকার পুনরায় কয়লা খনি ও শ্রমিকদের সর্বনাশ করার চক্রান্ত করে ১৯৭২ সালে হওয়া কয়লা খনি জাতীয়করণের আগের চালু বাণিজ্যিক খননকে পুনরায় চালু করতে চাইছে মানে মালিকের জমানায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। তাই বিজেপি সরকারের দেশ বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আজ গর্জে উঠেছেন দেশের কয়লা শ্রমিকরা।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই বেপরোয়া ভাবে রাষ্ট্রের কয়লা উদ্যোগ ও শ্রমিকদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ করা শুরু করে , এর মূল উদ্দেশ্য হলো কয়লা শিল্প ও কয়লা ভান্ডারকে রাষ্ট্রীয় মালিকানা থেকে বেসরকারি মালিক বা লুটেরাদের হাতে তুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের শোষণের দিকে ঠেলে দেওয়া।
মোদি সরকার ২০১৪ থেকে কয়লা ব্লক ইন প্রক্রিয়া আরো পারদর্শিতার সাথে সম্পন্ন করার প্রচার চালিয়ে ২০১৪ সালেই কোল মাইনস স্পেশাল নিয়ে আসে এরপর এই অভিযানকে ২০১৫ সালে আইনে পরিবর্তন করেসিএমএসপি অ্যাক্ট (CMSP Act).এই আইনের মাধ্যমে মোদি সরকার এর পর থেকে আইন হওয়া সমস্ত কয়লা খনি উৎপাদিত কয়লা বেসরকারি মালিক খোলাবাজারে কয়লা বিক্রি অধিকার পেয়ে যায় মানে লুটের ছুট দিয়ে দেওয়া হয়।
এই আইন প্রণয়ন করে কেন্দ্রীয় সরকার কয়লা শিল্প জাতীয়করণ সম্পর্কিত ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ রাষ্ট্রীয় করন আইন দুটি এক প্রকার শিথিল করে কয়লা শিল্পকে বেসরকারিকরণ এর রাস্তা প্রশস্ত করে দেয়। এই ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সমস্ত স্তরে তীব্র প্রতিবাদ সংঘটিত করা হয় ।এরপরেও এই সরকার১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন কয়লা শিল্পে দেয় । এতকিছু করেও কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই সরকার কয়লা ব্লক ক্ষেত্রে সফল হয়নি বা হ’তে পারছে না। এটাও বাস্তব কথা যে, কয়লা শ্রমিক ও সংগঠনগুলির লাগাতার আন্দোলনের ফলে এটাকে রোখা গেছে, কিন্তু করোনা সংকটের এই মহামারী সময়ে মোদি সরকার এখন এটাকে লাগু করতে বা সফল করতে উঠে পড়ে গেছে।
বাণিজ্যিক কয়লা খনন খালি দেশের রাষ্ট্রীয় কয়লা উদ্যোগ এতে কর্মরত শ্রমিকদের সামনে সংকট তৈরি করবে তা নয় দেশের অপরিবর্তনীয় শক্তি ভান্ডার কে চিরতরে ধ্বংস করে দেবে।।
শাসকদলের বাহিনীর লাল চোখকে কয়লা শ্রমিকরা তোয়াক্কা না করে স্পষ্ট জানিয়েছেন, বাধা দিলে বাধবে লড়াই,, ধর্মঘট হবেই।