রঘুনাথ ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:১৩ই এপ্রিল:- ভারতের সংবিধান ও নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে মানুষের আস্থা পুনঃ প্রতিষ্ঠা করুন, যাতে সমস্ত নাগরিকদের জন্য তা সুনিশ্চিত থাকে। মামলার জন্য ইতিমধ্যে তদন্ত যথেষ্ট সময়ের বেশী সময় পেয়েছে।সুপ্রীম কোর্টের এ ব্যাপারে নির্ণায়ক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে এটি সত্যিই মানুষের অধিকারের রক্ষক হয় এবং ঊর্ধ্বে তুলে ধরে ভারতের সংবিধানকে।” খবরে প্রকাশিত এটি একটি চিঠির অংশ। এটি লিখেছেন স্বনামখ্যাত রোমিলা থাপার,
প্রভাত পট্টনায়েক, দেবকী জৈন, মাজা দরুওয়ালা এবং সতীশ পান্ডে। প্রসঙ্গত, ভীমা কোরেগাও মামলায় দলিত সমাজতত্ববিদ আনন্দ তেলতুম্বে ও লেখক-সাংবাদিক গৌতম নওলাখা জামিন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, যদিও আঠারো মাস পেড়িয়ে যাবার পরেও পুলিশ নতুন কোনো তথ্য দিতে পারে নি বলে খবরে জানা যায়। আরও জানা যায় যে, ঐ দুজনকে কুখ্যাত ইউএপিএ আইনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার বেলা বারোটা থেকে
দুটোর মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য।তেলতুম্বে আত্মসমর্পন করবেন বলেই স্থির আছে।
পরিহাসের বিষয় যে, দলিত তেলতুম্বেকে যেদিন গ্রেফতার করা হবে, সেদিনটি সংবিধান রচয়িতা আম্বেদকরের ১২৯তম জন্মদিন। এই ঘটনাটি জনমানসে যথেষ্ট আলোড়ন তৈরি করেছে স্বভাবতই। এটিকে তাঁরা ‘ উইচ্ হান্ট ‘ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।এদিকে, ভীমা কোরেগাও মামলায় অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। ভারাভারা রাও,সুধা ভরদ্বাজ , অরুণ ফেরেরা, ভার্নন গঞ্জালভেজ্, ইত্যাদিকে গ্রেফতার না করার আবেদন ইতিপূর্বে খারিজ হয়ে গিয়েছিল সংখ্যা গরিষ্ঠ রায়ে।জানা যায় সখ্যালঘু মত ছিল ‘ স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজন আছে ‘ এবং সিট গঠন করার কথাও বলা হয়।
দেশের সচেতন মানুষের একাংশ এই ঘটনায় রীতিমত বিস্মিত। বিশেষত সারা দেশ যখন এক প্রচন্ড প্রাকৃতিক শক্তি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যার ফলে দেশে প্রায় যুদ্ধকালীন অবস্থায় মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে এবং আমাদের ভিড়ে ঠাসা জেলখানাগুলির অবস্থা যারপরনাই বিপন্ন।
কবি মীনা কান্দাস্বামী, সাংবাদিক নিখিল ভোগলে, কুমার কেটকার, প্রকাশ আম্বেদকর , সাংসদ বালাচন্দ্র মুঙ্গেকর,আইনজীবী মিহির দেশাই প্রমুখ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।