রাজনৈতিক রাজ্য

বিজেপির পালে হাওয়া দিলেন ধূপগুড়ির তৃণমূল নেত্রী!


সঞ্জিত দে ধূপগুড়ি: চিন্তন নিউজ: ১০ জুলাইঃ- রাজ্য ভাগের জিগির তুলে বি জেপি নতুন করে উত্তরবঙ্গের বাতাস ভারি করে তুলেছে কয়েকদিন হলো। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বি জেপি সাংসদ জন বার্লা এই জিগির তোলেন সুর মেলান কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক।বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যে এই বাংলা ভাগের জিগিরের প্রতি সমর্থন রয়েছে তা পরিস্কার হয়ে গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা রদবদলের মধ্য দিয়ে।বাংলাভাগের জিগির তোলা দুই সাংসদকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করায়।

এবার বিজেপির পালে হাওয়া দিলেন তৃনমুলের ধূপগুড়ির সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়।তৃনমুলের ধর্না মঞ্চে ভাষন দিতে গিয়ে তিনি বার কয়েক ঘোষণা করলেন এই দাবি পূরন হলে আমি সবচাইতে খুশি হব।শনিবার দুপুরে ধূপগুড়ি শহরের চৌপথিতে ট্রাফিক আইল্যান্ডের পাশে গয়েরকাটা বাস স্টপে পেট্রপন্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে টাউন ব্লক তৃনমুল যুব কংগ্রেসের ব্যানারে ধর্না মঞ্চ করা হয়।সেখানেই প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ কয়েকবার পরিস্কার করে বলেন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে আমি কামতাপুরি আন্দোলন শুরু করে রাজ্য ভাগের দাবি তুলেছিলাম।পুলিশ দিয়ে সেই আন্দোলন দমন করে বলা হয় আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদি সাম্প্রদায়িকতা করছি।এরপর কে এল ও শুরু হয়।আজ বিজেপি রাজ্য ভাগের কথা বলছে এটা হলে আমি বেশি খুশি হব।যেহেতু উত্তর বঙ্গে এই আন্দোলন আমি করেছি তাই আমি খুশি হব। তৃনমুল নেত্রী বেশ কয়েকবার এই কথা উচ্চারণ করলেও তৃনমুলের কোনো নেতা তার বিরোধিতা করছেন বা তার বক্তব্য বন্ধ করেছেন।শনিবার দুপুরে শহর জুড়ে মাইক ছড়িয়ে সভার বক্তব্য প্রচার হওয়া মাত্র বাজারে থাকা ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে উত্তর বঙ্গের মধ্যে প্রথম ধূপগুড়ি থেকে কামতাপুর আন্দোলন শুরু করে বাংলা ভাগের চক্রান্ত শুরু হয়।২০০০ সাল থেকে ২০০২ সালের আগষ্ট পর্যন্ত কে এল ও জঙ্গী বাহিনী পৃথক রাজ্যের দাবিতে হিংসাত্মক হামলা অপহরণ শুরু করে।২০০২ সালের ১৭ আগষ্ট সি পি আই এম পার্টি অফিসে হামলা চালিয়ে পাঁচজন কে খুন করা হয়।তার আগে আরও ৫ জন খুন হন।শুধুমাত্র ধূপগুড়িতেই ১০ জন নিহত হন। সিপি আই এম নেতৃত্ব কর্মী একজন সি পি আই কর্মী একজন বিহারের ট্রাক চালক নিহত হন।আসাম সীমান্তের কুমার গ্রাম থেকে মালদহ পর্যন্ত খুন অপহরণ টাকা লুট চলতে থাকে।১৯৯৮ সালেই তৃনমুল গঠনের পর ২০০০ সালের লোক সভা নির্বাচনে তৃনমুল নেত্রী শ্লোগান তুলেছিল উত্তরে কামতা দক্ষিনে মমতা।রাজ্য ভাগের বিজেপির পরিকল্পনার সাথে যে তৃনমুল সহমত পোষণ করেন সেদিনই তিনি বুঝিয়েছেন। এদিন ধর্না মঞ্চে তৃনমুলের অনান্য নেতারা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির কথা বলে বলেন রাজ্যভাগ রুখতে তাদের নেত্রী ছাড়া অন্য কেউ পারবেনা তাই ২৪ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।

এখানেই কামতাপুর আন্দোলনের এবং ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় বার বার উচ্চারণ করেন রাজ্য ভাগ হলে আমি বেশি খুশি হব। সেই সাথে তিনি বলেন আমাদের কামতাপুর আন্দোলনের নেতা কর্মি কে এল ও জঙ্গী লিংক ম্যানকে মমতা ব্যানার্জি পুলিশে হোম গার্ডে চাকরি দিয়েছে। সবাই রাজ্য সরকারের পাশে আছে এই কথা বলেই তিনি ফের বলেন আমি খুশি হব রাজ্য ভাগ হলে।বার বার বলার পরেও মঞ্চে উপস্থিত তৃনমুলের জেলা নেতারা চুপচাপ বসে থাকেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।