রাজ্য

অবসর নেই কাছের আমলাদের


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৪ জুন: আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়ই এই প্রথম নয় এর আগেও অনেক আমলারা আরও গুরুদায়িত্ব পালন করেন। যারা রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞকে মানুষ এর দুয়ারে পৌঁছে দেন অতি দায়িত্ব সহকারে। তাঁরা অবসরের পর ছুটি পান না বরং তাদের কাজের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। এরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব বিশ্বস্ত কাছের মানুষ।

দিন কয়েক আগে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায়কে নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরে তিনি অবসর গ্রহণ করার পর তিনি আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপেদেষ্টা হলেন। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু আমলা অবসরের পর এই রকম গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্যই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।

আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায় এর আগে গৌতম স্যান্যাল। তিনি ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু অবসর নিয়েও অবসর নেওয়া হলো না। অবসর গ্রহণ করার পর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সচিবের পদে দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজ্য প্রশাসনের ওয়াকিবহাল মহলের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতার নিউক্লিয়াসে প্রধান এই গৌতম বাবু।

এরপর ২০২০ সালে অবসর নেন রাজীব সিনহা। মুখ্যমন্ত্রীর অতি প্রিয় মুখ্যসচিব। পদ ছাড়ার সাথে সাথে তাঁর জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। পরের দিনই ওয়েষ্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলেপমেন্ট কর্পোরেশনের সচিব হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করা হয়।

২০১৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন নজরুল ইসলাম।। তিনি পুলিশ এর ডিজি ছিলেন। অবসর গ্রহণ এর পর তাকে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। পুলিশ প্রশাসন এর সঙ্গে যুক্ত রাখার জন্য এই নতুন পদটি তৈরি করেন। এরপর রিনা মিত্র। অবসর গ্রহণ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের আভ্যন্তরীন পদে নিয়োগ করেন।

কিন্তু এইরকম পথে চলেন কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি? রাজ্যের অভিজ্ঞ কাজ জানা লোককে ছাড়তে চান না মমতা ব্যানার্জি। এইজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত কাছের মানুষরা কোন দিনই অবসর নিতে পারেন না। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এদের কাজে বহাল করে রেখে দেন মুখ্যমন্ত্রী।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।