দেশ রাজ্য

বাঁকুড়া জেলা জুড়ে বামপন্থী শ্রমিক বিক্ষোভের জোয়ার।


কিংশুক ভট্টাচার্য্য:চিন্তন নিউজ:২৭শে মে:- মালিকদের স্বার্থে শ্রম আইনগুলি বাতিল করা চলবে না – কাজের ঘন্টা ৮থেকে বাড়িয়ে ১২ করা চলবে না দাবীগুলিকে সামনে রেখে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখালো বাঁকুড়া জেলার ট্রেড ইউনিয়নগুলি

বাঁকুড়া,২৭শে মে,২০২০
উপরোক্ত দাবীদুটির পাশাপাশি সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে সরকারী খরচে নিজেদের বাড়ীতে ফিরিয়ে আনতে হবে, মহামারীজনিত লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে প্রতিরক্ষা সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ক্ষেত্রগুলি বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে, লকডাউনের সময়কালে মালিকদের সমস্ত শ্রমিককে মজুরী দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পূর্ব সিদ্ধান্ত বলবৎ রাখতে হবে, শ্রমিকদের একাউন্টে মাসে ৭৫০০/ করে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে, প্রতিটি গরীব পরিবারকে বিনামূল্যে মাসে ৩৫কেজি করে চাল ও ২কেজি করে ডাল সরবরাহ করতে হবে, আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রভৃতি দাবীতে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সুসজ্জিত মিছিল, অবস্থান, বিক্ষোভ সভা প্রভৃতির মাধ্যমে প্রবল বিক্ষোভ দেখালেন বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলি ও ১২ই জুলাই কমিটি – অনেকগুলি জায়গায় যোগ দিয়েছিলেন আইএনটিইউসি ও এইচ‌এম‌এস শ্রমিক সংগঠনের এবং পেনশনার্স সমিতির সদস্যরাও। এছাড়া কৃষক, ক্ষেতমজুর, ছাত্র, যুব,মহিলা সংগঠনের সদস্যরাও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সামিল হয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে।

জেলা সদর বাঁকুড়া শহর ও শহরের উপকন্ঠে কাটজুড়িডাঙা,কেরাণীবাঁধ ও ধলডাঙ্গা মোড়ের তিনটি বিক্ষোভ সভা থেকেই সংগঠনগুলির জেলা নেতৃত্ব কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মহামারীর সময়কালে মানুষের দিশেহারা ভাবের অসহায়তাকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে দেশকে বিকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তার প্রতি তীব্র ধিক্কার জানান। – পাশাপাশি আগাম সতর্কতাকে উপেক্ষা করে রাজ্যের তৃণমূল সরকার আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় ও পরে রাজ্যের মানুষের যেভাবে দুর্দশা বাড়িয়ে দিয়েছেন তা‌র‌ও তীব্র সমালোচনা করা হয়। এই সভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন কিংকর পোশাক ও প্রতীপ মুখার্জী(সিআইটিইউ), অভিষেক বিশ্বাস(আইএনটিইউসি), অনাথ মল্ল(টিইউসিসি), মদন মাহাতো(ইউটিইউসি), কল্যাণ সিংহ(এআইটিইউসি), বাবলু ব্যানার্জী(এআইসিসিটিইউ), মুকুল রায় ও দিগন্ত সিনহা(১২ই জুলাই কমিটি) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।