রাজ্য

রাজ্যে বাড়ল লকডাউন,উদ্ভুত সমস্যার সমাধানের দিশা দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী।


সূপর্ণা রায়:- চিন্তন নিউজ:-১২ই এপ্রিল:- রাজ্যে লকডাউন বাড়ল ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত।। গতকাল বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাথে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এক বৈঠকে বসেন এবং ওই বৈঠকে লকডাউন আরো ১৫ দিন বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়।। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই আরো ১৫ দিন লকডাউন নিয়ে আলোচনা করেন এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও লকডাউন এর পক্ষে মত দেন।।

তারপরেই নবান্নতে তড়িঘড়ি এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যের লকডাউন এর সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে দেন।। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন”” আরও ১৫ দিন লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সরকার, তবে এও বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান চালানো যাবে না””।।

এর ই পাশাপাশি রাজ্যবাসী কে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।। রাস্তায় কোন রকম ভীড় বা জমায়েত বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।। রাজ্যের মানুষ এর উদ্দেশ্য মমতা ব্যানার্জি বলেন,-“অনুগ্রহ করে বলছি আপনারা ঘরে থাকুন। সব ধরনের ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠান বাড়িতে বসে পালন করুন ।। রাস্তায় নেমে অযথা ভীড় করবেন না”। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন লকডাউন এর জেরে মানুষ এর প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি।।তাই নিয়ম মেনে বেকারি চালু রাখার কথা বলেছি।। তবে নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন আগামী দুসপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ।। নিশ্চয়ই ওদের কাছে কোন খবর আছে।।তাই বলছি সবাই লকডাউন মেনে চলুন।। সরকারের সাথে সহযোগিতা করুন”””__…।।

অথচ আশ্চর্যের বিষয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করোনা সংক্রমণ এর মৃত্যু নিয়ে কোন কথা বলতে শোনা গেল না।। আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব থাকলেন। বললেন না একবারও সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো চুড়ান্ত ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।। অদ্ভুত ভাবে লকডাউন এর মধ্যেই চা বাগানের কাজ শুরু করা হলো।। লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে নিলেন অথচ সরকারিভাবে নির্দেশ পাওয়া স্বত্বেও কোম্পানির মালিকরা কেন শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছেন না, সে নিয়ে একটি কথা উচ্চারণ করেন নি।। পয়লা বৈশাখে ঘরে বসে ঈশ্বর ভক্তির চর্চা করার পরামর্শ তার কথায় উঠেছে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।