রাজ্য

মানুষের যন্ত্রনার কথা শুনলেন সুজন চক্রবর্তী


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৭ নভেম্বর: বঙ্গোপসাগরে সামনে বালিয়ারা। সমুদ্রে যখন জোয়ার আসে সেই জলোচ্ছ্বাসে ক্রমশ পাড় বাঁধ ভাঙছে। কিন্তু গত আট বছরে সেই ভাঙা বাঁধ সারানো হয়নি। গত আট বছরে নির্বিচারে জল ঢুকছে। বাঁধ মেরামত হয়নি আর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাই ক্ষোভ, অভিযোগের কথা শোনালেন বাম পরিষদীয় দলনেতা কমরেড সুজন চক্রবর্তীকে। মৌসুনীর বালিয়াড়ার নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন সুজন চক্রবর্তী। ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথাও বলেন তিনি।

সরকারি সাহায্য না পেয়ে ওই অঞ্চলের মানুষ বাধ্য হয়ে নিজেরাই বাঁধে মাটি ফেলে। কোটালের সময় সেই মাটিও জলের তলায় চলে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান গত আট বছর ধরে ভেঙে যাওয়া এই তিন কিলোমিটার নদী বাঁধ সারানোর দাবি করেছেন। অর্থ বরাদ্দ, কাজের টেন্ডার পাওয়া ইত্যাদি কাজ সারতে গিয়ে নিশ্চিহ্ন এলাকা আরো বেড়ে যায়। আগেকার ভেঙে যাওয়া বাঁধ সারানো হলেও বেড়ে যাওয়া অংশ সারানো হয়নি। ফলে আট বছর ধরে এই অবস্থা। এই দ্বীপের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি কাজ। সমুদ্রের লোনা জলে চাষের ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়, প্রায় সময়ে চাষবাস বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত এখানে ধান, সবজি ইত্যাদি চাষ হয় – সব বন্ধ। অবাধে লোনা জল ঢোকে কৃষি জমিতে। কোটাল ও বর্ষার সময় পরিবার নিয়ে ছুটতে হয় ত্রাণ শিবিরে। প্রতি বছর মানুষের ঘর ভাঙে আর প্রতি বছর এই ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। গ্রামের ছেলেরা পরিবার নিয়ে ভিন্ন রাজ্যে চলে যাচ্ছে কাজের সন্ধানে।

নামখানা, মৌসুনী গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের দখলে। বাঁধ ভাঙার ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। প্রকৃতির সাথে লড়াই করে করে বেঁচে আছেন এখানকার মানুষ। মানুষের সমস্যার জন্য শাসক দলের সদস্যরাও যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। এক তৃনমুল নেতা জানান সরকার যদি ব্যাবস্থা গ্রহন না করে তবে তারা আর কি করবে? শাসক দলের সন্ত্রাস, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার পরম্পরা এখানেও বিদ্যমান। তাই এখানকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন না। নদী ভাঙ্গনের সমস্যায় তাদের জীবন জীবিকা আক্রান্ত।

কমরেড সুজন চক্রবর্তী গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বললেন, এলাকা ঘুরে দেখলেন – বললেন মানুষ খুব কষ্ট করে আছেন। তিনি বলেন আগেও এসেছিলেন, সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন।। এরাজ্যে কোন রাজ্য সরকার আছে বলে তিনি মনে করেন না। সেচ, বন কোন দপ্তর কাজ করে না। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন গ্রামের মানুষদের প্রতি উদাসীন হওয়া উচিত নয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।