রাজ্য

আজব প্রশাসন


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২১শে মার্চ:–_পশ্চিমবঙ্গের তৃনমুল পরিচালিত সরকার এক আজব সরকার।। নিজেরাই নির্দেশনামা বানান, আবার নিজেরাই সেটা মানে না। করোনা সংক্রমণ এড়াতে একসাথে বেশী লোকজনের জমায়েত যাতে না হয় তার নির্দেশ জারি করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জনতা কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যসরকার মেদিনীপুর জেলার সবং অডিটোরিয়ামে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাজার দুয়েক মানুষকে চারটি লাইনে দাঁড় করিয়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বিলি করা হলো কৃষিতে ক্ষতিপূরণের চেক।।

আবার অন্যদিকে দাসপুর অঞ্চলে বিধায়কের উপস্থিতিতে হ’ল খাল খননের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রচুর জনসমাবেশে মধ্যে।। এর বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করেন।। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য আপাতত স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিনোদন পার্ক, এমন কি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে রয়েছে।। সরকারি নির্দেশে জমায়েত নিষিদ্ধ।। আর একটা রাজ্যসরকার সেই নিয়ম মানছে না।। বারবার রাজ্যসরকার ঘোষণা করছে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে অথচ সবং এর চেক বিলির স্থানে নেই কোন হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা।।মাস্ক তো নেইই, নেই কোন সতর্কবার্তা।।

সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে কৃষকরা জানিয়েছেন সরকার থেকে চেক বিলির কথা বলা হয়েছে তাই তাঁরা চেক নিতে চলে এসেছেন।। তাঁদের ভয় না আসলে যদি পরে টাকা না পাওয়া যায় তাই জীবন বাজি রেখে তাঁরা এসেছেন।। এবিষয়ে বিডিওর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন উত্তর দেন নি।এই ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রীতিমত জমায়েত করে দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুইয়া চন্দ্রেশ্বর খাল কাটার অনুষ্ঠান করেন।। সরকারি খরচে লোকজন এনে তাদের খাবারের প্যাকেট ধরানো হয়।। এখন আমরা এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি যে সরকারি কর্মকর্তা , বিধায়ক যদি এমন আচরণ করতে থাকেন তাহলে কিভাবে সাধারণ মানুষ কিভাবে সরকারি নির্দেশ মানবে?


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।