জেলা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পঞ্চায়েত সমাচার।


চিন্তন নিউজ ১৭/৬/২৩:- রিপোর্টার সুশান্ত ঘোষ। জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নমিনেশন পর্বে জেলার বিভিন্ন ব্লকে লাগামহীন সন্ত্রাস ও প্রশাসনের অপদার্থতায় অনেক এলাকায় বামফ্রন্ট প্রার্থীরা নমিনেশন জমা দিতে পারেন নি। এরপরও যে সকল বামফ্রন্ট প্রার্থীরা নমিনেশন জমা দিয়েছেন তাদের অনেকের উপর নানা রকম ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সাধারণ মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার দাবীতে সি পি আই এম সোনারপুর মধ্য এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মিছিল সঙগঠিত করা হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ 24 পরগণা জেলা কমিটির সদস্য দীপঙ্কর শীল,অমল বৈদিক, এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয়ন সরকার, সুশান্ত ঘোষ, প্রবীর সোম, শুভঙ্কর কুন্ডু, সুব্রত ঘোষ বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, নারায়ণ রায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সোনারপুর ব্লক থেকে সুশান্ত ঘোষের প্রতিবেদন :– রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় কয়েকটি ব্লকে শাসকের সন্ত্রাস, চোখ রাঙানী এবং হুমকির সম্মুখীন হয়ে সোনারপুর এলাকার খেয়াদাহ -১ও ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তার ব্যাতিক্রম ছিলো না, এই ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সি পি আই (এম )প্রভাত হালদার জানান খেয়াদাহ -১নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনের মধ্যে ২টি, এবং খেয়াদাহ -২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনের মধ্যে ২টি তে বামফ্রন্ট এর প্রার্থী রা তাঁদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। যদিও তাঁদের কম ধমকানি, চমকানি সহ্য করতে হয় নি।খেয়াদাহ -১নং গ্রাম পঞ্চায়েতে র ১৯টি আসনের মধ্যে ১৫টি তে এবং খেয়াদাহ -২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে র অধিকাংশ আসনেই বাম প্রার্থী রা তাঁদের মনোনয়ন দিতে পেরেছেন।

সোনারপুর মধ্য এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয়ন সরকার জানান কামরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত ও সোনারপুর -২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সব কয়টা আসনে বাম প্রার্থী রা তাঁদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। কামরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে র মোট ২৬টি আসনের মধ্যে ২২টি, এবং সোনারপুর -২নং গ্রাম পঞ্চায়েতেও বাম প্রার্থী রা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে।
কামরাবাদ, ও সোনারপুর -২নং গ্রাম পঞ্চায়েতে র পঞ্চায়েত সমিতির এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যে সমস্ত বাম প্রার্থী রা নোমিনেশন জমা দিয়েছেন তাঁদের সকলের পার্টি প্রতীক, ব্লক অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে জানা যায় যে বিগত ১৮র নির্বাচনের সময় শাসক দল তাঁদের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছিলো, ধমকানি, শাসনি, পুলিশের ভয় ইত্যাদির মধ্যমে, কিন্তু এখন সময় টা ঐ অঞ্চলে অনেক পাল্টেছে।সিপিআইএম কর্মীদের‌ অদম্য সাহস, হার না মানা মনোভাব দেখে মানুষও সাহস পেয়েছে। তাই তারাও সিপিআইএম এর পাশে আসতে শুরু করেছে। আজ তৃণমূল ও বুঝতে পারছে এই বার লড়াইটা অনেক কঠিন, কিছু জায়গায় তারা মানুষের হাবভাব দেখে বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে তাঁদের অস্তিত্ব সংকট আসতে চলেছে, এবার এর এক পেসে খেলা হবে না, মার দিলে পাল্টা হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।