চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৩শে আগস্ট:–মন্দির নির্মাণের জন্যে সরকারি কোষাগারে কোনো অভাব নেই, কোষাগারে অভাব রয়েছে শিল্প শ্রমিকদের জন্যে!!
মাত্র দিন দুয়েক হলো মুখ্যমন্ত্রী দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছেন।এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।কোনো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সরকারি কোষাগারের টাকায় কি মন্দির বা মসজিদ নির্মাণ করা যায়।এই ধরনের নির্মাণ কি আমাদের সংবিধান স্বীকৃত?এই সব প্রশ্ন নিয়ে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কোনো মাথাব্যথা নেই।
ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে ৯৫% কারখানা।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্যার সমাধানে অক্ষম বলে স্বীকার করে নিলেন।শ্রমিকরা সেই দাবি উত্থাপন করলে সততার মুখোশধারী মুখ্যমন্ত্রী তাকে ধমকে বসিয়ে দিয়ে বলেন ,দীঘাতে মন্দির নির্মাণ হচ্ছেই,এবং তা সরকারি টাকাতেই।
এই কয়েক বছরেই বোঝা গেছে এই তৃনমূল সরকার শ্রমজীবী দের সরকার নয়,ছাত্রযুব দেরও সরকার নয়,আর সাধারণ মানুষের সরকারও নয়,এই সরকার তোলাবাজদের সরকার ,কাটমানির সরকার, জুলুম বাজদের সরকার।
দীঘায় এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে বেশ কিছুক্ষণ পর বলবার সুযোগ পান কাজু শ্রমিকরা।কাজু শিল্প ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পড়ে।বলতে ওঠেন কাজু শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে আনোয়ারউদ্দিন।তিনি বলেন, কাজু শিল্পে একহাজার ইউনিটের মধ্যে সাড়ে নশো বন্ধ আছে।কাজ হারিয়েছেন লক্ষাধিক শ্রমিক।বলেন এখানে কাজু চাষ বন্ধ।পূর্বের প্রতিশ্রুতি মতো তিনি রাজ্যের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ১%কর তুলে নিতে বললে মুখ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করতে থাকেন।বলতে থাকেন সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে আর দেওয়া যাবে না।দু’টাকা কেজি চালের সঙ্গে কাজু শিল্পের কি সম্পর্ক সভায় উপস্থিত কেউই বুঝতে পারেননি।পরিস্থিতি বুঝে অন্য ছোট শিল্পপতিরা আর মুখ খুলতে সাহস পাননি।
এরপর তিনি সটান জানিয়ে দেন দীঘায় ৫একর জমিতে মন্দির হচ্ছেই, এবং তা সরকারি টাকায়।সাধারণ মানুষের উপর পুলিশি জুলুম সহ মিড ডে মিল নিয়েও আলোচনা হয়।প্রচুর অভিযোগ উঠতে থাকে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ৬৪ টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন ,যা তার বেশিরভাগ প্রকল্পের মতোই শুধুমাত্র গিমিক।