বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মঙ্গলগ্রহে পারি দিতে চলেছেন বিস্ময় বিজ্ঞানী এলিসা কার্সন।


কাকলি চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:২৭শে জুন:–কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা—মনে মনে।
আমরা স্বপ্ন দেখি হারিয়ে যাওয়ার কিন্তু আমাদের মধ্যেই আছে সেই মেয়ে, যে স্বপ্নে নয়, স্পর্ধায় বাঁচে, খুঁজে নেয় বেঁচে থাকার প্রকৃত মানে। হ্যাঁ, আমি এলিজা কার্সন এর কথা বলছি যে ২০৩৩ সালে পাড়ি দিতে চলেছে মঙ্গল গ্ৰহে।বিজ্ঞানীরা বলছেন হয়তো কোনো এক সময়ে সেখানে ছিল প্রাণের উপস্থিতি। পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে কোটি কোটি মাইল দূরে ঐ লাল রঙের গ্ৰহের সঙ্গে মিতালী পাতাতে চলেছে অসীম সাহসী এই আঠারো বছরের কন্যাটি।সিঙ্গল পেরেন্ট হিসাবে বাবার হাত ধরে মাত্র সাত বছর বয়সে আলবামার একটি স্পেস ক্যাম্পে গিয়ে সেখানকার অভিজ্ঞতা তার চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে, সে হয়ে যায় অন্য শিশুদের মধ্যে স্বতন্ত্র। নাসার মহাকাশচারী সান্ড্রা ম্যাগনাসের সঙ্গে আলাপ প্রভাবিত করে আরও সাহসী করে তোলে তার ভাবনাকে।মাত্র বারো বছর বয়সেই কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আলবামা, কানাডা ও তুরস্কের তিনটি স্পেস ক্যাম্পে সে অংশ নেয়।ভারশূন্য স্থানে চলাচল, থাকার পদ্ধতি, মহাকাশের বিভিন্ন মিশন, বেসিক জ্ঞান অর্জন তার এখন শেষ। প্রয়োজন মত জরুরী সিদ্ধান্ত নিতে সে শিখে নিয়েছে। রোবট নিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি একক প্রচেষ্টায় একটি রকেট ও সে বানিয়েছে। নাসার কাছে তার আদরের নাম–‘ব্লুবেরি। হারিয়ে যাওয়ার দেশে হারিয়ে যাওয়ার আগে সে সাক্ষর করেছে যৌনতা, বিয়ে বা সন্তান ধারণের নিষেধাজ্ঞাপত্রে।আঠারো বছর বয়সের আগেই নাসা তাকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে নভোচরী হিসাবে আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে তাকে অভিযানের লক্ষ্যে ঠিকমতো গড়ে তোলার জন্য। ২০৩৩ সালে এলিজার বয়স হবে ঠিক ৩৩ বছর —যে বয়সে সে পারতো পৃথিবীতে ভোগবাদী সমাজব্যবস্থার শরিক হিসাবে নিজেকে সামিল করতে, তা না করে পৃথিবীবাসীর মঙ্গলের জন্য এক অনিশ্চিত পথে পাড়ি দিতে চলেছে যেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কী অসীম মনের জোর আর অদম্য মানসিকতা এই নারীর। নিয়মবাঁধা ছকের বাইরে গিয়ে যে জীবনের প্রকৃত মানে খুঁজে নেয়া সম্ভব তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই এলিজা। কল্পনা চাওলার পর আবার ও এক ইতিহাস সৃষ্টির পথে এলিজা কার্সন— আমাদের গর্ব, আমাদের সাহসী হওয়ার প্রেরণা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।