সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৩রা জানুয়ারি:–আছে ” ভাইপো টোকেন”” আর এই টোকেনের জেরে পুলিশ শাসকদলের নেতাদের লুঠের শিকার সাধারণ মানুষ।।১০ থেকে ১২ চাকা ট্রাকে করে সরকারকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বেআইনি ভাবে ৩গুন বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেই ট্রাক গুলো মারাত্মক দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে।।গলসীর শিকারপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার কারণ এই ওভার লোডিঙ।।
ট্রাক চালকরা এই ঘটনার জন্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। কি ভাবে ট্রাক চালকরা ওভারলোডিঙ করতে বাধ্য হচ্ছেন তা জানলে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠবে।। ঘাটে বালির দাম হয়তো ৪৫০০/- , পুলিশ প্রশাসনকে ঘুষ দিতে হয় প্রায় ৬৭০০ /- ,টোলট্যাক্স বাবদ দিতে হয় প্রায় ৮৪০/- ,চালক ও খালাসী দের খাওয়ানোর খরচ, ওভারলোড বালি তোলার জন্য বকশিশ দিতে হয় ।/ এছাড়া ডিজেলের খরচা ।
এরপর ২০২০ সালে আরও চড়া হবে পুলিশ প্রশাসনের ঘুষের অঙ্ক।।। তাই উপায়ান্তর না দেখে এক ট্রাকে যা বালি নেওয়া উচিৎ তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে বালি নেওয়া হয়।।আর এই ওভারলোডিঙ এর ফলেই ঘটছে মারাত্মক দূর্ঘটনা।। শুধু মানুষ মরছে তাই নয় এর ফলে রাস্তা ভাঙছে ,সেতু ভাঙছে।।গলসীর বাঁকা নদীতে আতসী ব্রিজ ও আদারহাটি কৈতাড়া ব্রিজ ভেঙে গেছে।।
আনুমানিক ১৮ থেকে ২২ টন পর্যন্ত ওভারলোড হয়ে ট্রাক গুলো ছোটে রাস্তা দিয়ে।। এই কাজে সরাসরি মদত আছে পুলিশ ও প্রশাসনের।। ট্রাকগুলি চলার পথে বিভিন্ন থানা পড়ে সেগুলো যাতে সহজেই অতিক্রম করা যায় তার জন্য দেওয়া হয় টোকেন।।আর এই টোকেন এর মধ্যে জড়িয়ে গেছে ‘ভাইপোর’ নাম।। ” ওম্” চিহ্ন দেখলেই বোঝা যায় ওটা ভাইপো টোকেন, একথা ঘুরছে ট্রাক চালক দের মুখে মুখে। টাকা তুলে নিয়ে মাসকাবারি হিসেবে ও এমন টোকেন দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
বালি মাফিয়ারা সেতুর নীচে যে মোটা বালির স্থর থাকে সেখান থেকে বালি কেটে নিচ্ছে যার ফলে সেতু গুলো দূর্বল হয়ে পড়েছে।। যেমন কাশীরাম সেতু,বিনয় কোঙার সেতু, দামোদর এর কৃষক সেতু অবৈধ বালি তোলার জন্য খুবই ক্ষতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।। পশ্চিম বাংলা তে পুলিশ ও মাফিয়াদের মধ্যে এক অটুট গাঁট বন্ধন তৈরি হয়েছে।। বিভিন্ন থানায় পুলিশ ছবি দেওয়া কার্ড তৈরি করেছে মাসোহারা হিসেবে।।বৈধ চালান থাকলেও এই পুলিশি গুন্ডারাজে টাকা দিয়ে তবে রাস্তা পেরোতে হবে।।বালি মাফিয়া, পুলিশ এর তোলা আদায় এই সবকিছু র দায় গিয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর।।। গ্রামের মানুষ দের অভিযোগ শাসকদল এর ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ এর মৃত্যু ঘটেছে।। চোরাবালিতে হারিয়ে গেছে বহু মানুষ।। অজয় নদ থেকে দামোদর এ জেসিপি মেশিন দিয়ে বালি তুলে তুলে মরনফাদ তৈরি করে রাখছে শাসকদল এর মদতপুষ্ট লুম্পেন রা।আর সেই ফাঁদ এ মৃত্যু ঘটেছে সাধারণ মানুষের।।
বুধবার গলসীতে জনরোষ এ পুড়েছে ২টি ডাম্পার,৫টি জেসিপি মেশিন,২টি ট্রাক সহ ঘাটের অফিস।। নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আহত করেছে গ্রামের মানুষ দের কিন্তু তাতেও প্রতিবাদ ঠেকাতে পারেনি শাসকদল ও তাদের পোষা পুলিশ।।।।।।।।__