কলমের খোঁচা

রবীন্দ্র আশ্রিত বিসর্জন


জয়দীপ মুখার্জি, নিজস্ব প্রতিবেদন- চিন্তন নিউজ: ০৩/০১/২০২৩:- — জলপাইগুড়ি কলাকুশলী-র আমন্ত্রণে বেলঘরিয়া হাতেখড়ি নাট্যদল আজ জলপাইগুড়িতে অভিনয় করলো তাদের রবীন্দ্রনাথ আশ্রিত নাটক ‘বিসর্জন’।

মঞ্চে নয়, নাটকটি হল রাজবাড়ি দিঘির শিবমন্দির চত্বরে। মন্দিরটি ব্যবহৃত হয়েছে নাটকের আখ্যানের অংশ হিসেবে। শুধু মন্দির নয়,দিঘির ঘাট,বৃক্ষমূল, সংলগ্ন পরিসরও নাটকের অভিনয়ভূমি হয়ে উঠেছিল এক বৃহত্তর বিস্তারে। মঞ্চ নাটক বা পথ নাটকের কনসেপ্ট ভেঙে এমন উন্মুক্ত নাটক দর্শকের কাছে খুবই communicative হয়ে ওঠে।

রবীন্দ্রনাথের বিসর্জনকে সমকালের বিনির্মানে এমনভাবে আনা হয়েছে যে,তাতে প্রখরভাবে উচ্চারিত হয় সমকালের জীবন,জীবনবোধ, রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে হত্যা-খুন-রক্তপাত,সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেম ভালোবাসা,অসূয়া, ঘৃণা,রিরংসা, স্বার্থপরতা– সব। কখনো বা তা একটু উচ্চকিতও। চলমান সব ভ্রান্তি ও বিভ্রম আর অন্তঃসারশূন্যতা থেকে মুখ ফিরিয়ে এক নতুন জীবন প্রতিষ্ঠার অঙ্কুরে জলদানে নাটকটি শেষ হয়।

আলো ও অন্ধকারের দ্বান্দ্বিকতায় শুধু অন্ধকারই কেন প্রকট হয়ে ওঠে সব কিছু অস্বীকারের তীব্র প্রত্যাখ্যানে, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে,যদিও নতুন স্বপ্নের দ্যোতনা থেকে যায় শেষ অঙ্কে। রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন আশ্রিত এ নাটকের নাট্যরূপকার হিমাদ্রী দাশগুপ্ত। সুশান্ত নিয়োগী


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।