প্রতিবেদক কল্পনা গুপ্ত: চিন্তন নিউজ:১৯শে অক্টোবর:- – চীনা কবি ল্যু স্যুনের জন্ম হয় চীনের জাও জিং ঝেজিয়াংএ ১৮৮১ সালের ২৫ শে সেপ্টেম্বরে, প্রয়াত হন ১৯৩৬ সালের ১৯ শে অক্টোবর। উনি একজন চৈনিক লেখক – প্রধানত তিনি প্রাবন্ধিক, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক। চৈনিক সাহিত্যে তিনিই আধুনিকতার জনক। তিনি যেমন ধ্রুপদী সাহিত্যস্রষ্টা তেমনি তাঁর লেখনী সাধারণ মানুষের সুখ দুখের কথাও বলেছে সফলভাবে। সাহিত্য সম্পাদনার কাজ থেকে শুরু করে অনুবাদক, কবিতা লেখা এমনকি ডিজাইনারের কাজও তিনি করেছেন। ১৯৩০ সালে তিনি সাংহাইয়ের ‘লীগ অফ লেফট উইং রাইটার্স ‘এর একজন ছত্রবিহীন নেতা হয়ে ওঠেন। এই লীগের কর্মধারা ছিলো সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতাকে আনুকূল্য দেওয়া সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটানোর ক্ষেত্রে। এটি ছিলো চীনের সাংস্কৃতিক চক্রের মধ্যে একটি প্রভাবশালী সংগঠন। এই লীগ ১৯৩১ এ কুয়োমিন্টাং সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিলো।
১৮৯৮ সালের মে মাসে তিনি শিক্ষারম্ভ করেন চিয়াংনানের নৌ একাদেমিতে। ১৯০০ সালে তিনি নানচিংএর চিয়াংনান সামরিক প্রশিক্ষণালয়ের অধীনস্ত ‘ রেলওয়ে এবং খনি বিদ্যালয়ে’ লেখাপড়া শুরু করেন। ধ্রুপদী ভাষায় ‘ ভ্রাতাদের প্রতি সম্ভাষণ ‘ সহ কয়েকটি কবিতা রচনা করেন। এরপর তিনি জাপানে যান জাপানী ভাষা শিক্ষা করেন ও ১৯০৪ সালে সেন্দাই মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। এই সময়ের একটি ঘটনা তাঁর মনে আলোড়ন তোলে। একদিন তিনি হাঁটছিলেন তখন দেখেন কয়েকটি জাপানী নাগরিক একটি চীনা নাগরিককে খুব লাঞ্চিত করছে, কিন্তু সেই চীনা নাগরিকটি কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না। যেন প্রভু দাসের প্রতি এমন আচরণ তো করবেই, কিই বা করার আছে তাতে। এই দৃশ্য দেখে তিনি খুব আহত হন। স্থীর করলেন মানুষের দৈহিক চিকিৎসার থেকেও তার মনোজগতের চিকিৎসা আরো জরুরি। ল্যু স্যুন দেশে ফিরে এসে সার্বক্ষণিক লেখকে পরিণত হলেন। তাঁর বিখ্যাত উক্তি হলো, ‘ যে সমাজ প্রতিভার জন্ম দিতে ভয় পায়, সেই সমাজকে ধিক’। তাঁর লেখার সময়কাল ১৯১৮ থেকে ১৯৩৬। সমসাময়িক সময়ের থেকে তাঁর লেখা এগিয়ে থাকলেও তিনি কিন্তু সমস্যার মূলে আঘাত করতে পেরেছিলেন। আজ তিনি সেদেশের জাতীয় লেখক বলে স্বীকৃত। তাঁর প্রয়ান দিবসে চিন্তন জানায় তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।