চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ: ২রা নভেম্বর:–এসএফআই করার অপরাধে ছাত্রকে কম নম্বর দেবার অভিযোগে অভিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।।
শিক্ষকতাকে একটা ‘নোবেল প্রফেশন’ বলে মনে করা হয় এখনও।সেখানে কোনো ছাত্র কে শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি করার অপরাধে শিক্ষকের প্রতিহিংসামুলক আচরন অনৈতিক ও শিক্ষকতা পেশার অসম্মান।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বিভাগের পড়ুয়া জয়দীপ দাস এসএফআই ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দাবী দাওয়া, প্রশাসনিক অনিয়ম,অস্বচ্ছতা ইত্যাদি নিয়ে সক্রিয় ভাবে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই অপরাধে মাস কম বিভাগের অতিথি অধ্যাপক অভ্র সেন তাকে জব্দ করার জন্যে ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দিয়েছেন।
এই ঘটনা জানাজানি হয় সম্প্রতি একটা হোয়াটস এ্যাপ স্ক্রিন শট এর মাধ্যমে।অধ্যাপক সেন এর তোলা সেই স্ক্রিন শটটি বীরেন্দ্র তরফদার নামক এক ব্যাক্তি ছাত্র জয়দীপ দাস ছাড়াও কয়েকজন ছাত্রকে পাঠানো হয়।এই ছবিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ছাত্রটিকে জব্দ করার জন্যে ,কিভাবে ও কেন কম নম্বর দিয়েছেন।কারন হিসেবে তিনি লেখেন” এমন মার্কস চেপেছি যে জব্দ হবেই।পরীক্ষায় কম নম্বর পাবে তাতে ওদের নিজেদের গ্রুপেই ভাঙন ধরবে।”এই সমস্ত লেখাটিই স্ক্রিন শটে ধরা পড়েছে।এছাড়াও লিখেছেন আন্দোলন করতে গেলে পস্তাতে হবে।কেরিয়ারের চিন্তা থাকলে আন্দোলন করা উচিত নয়।
এই স্ক্রিন শটটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় এদিন আর্টস ফ্যাকাল্টি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অধ্যাপক অভ্র সেনের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বা কোড ভাঙার জন্যে তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
প্রসঙ্গত জয়দীপ দাস ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।তাছাড়া এই মাস কমিউনিকেশন বিভাগ এ প্রবেশিকা পরীক্ষা, খাতা হারানো, গন ফেল সহ বহু অভিযোগ জমা হয়েছে ,তার অবিলম্বে প্রতিকার ও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে এসএফআই এর ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা।
যদিও অধ্যাপক সেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি সদ্য তৃনমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগ দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।বর্তমানে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের অভিমত এই ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত হোক এবং দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছে জুটা।