রাজ্য

গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মহিলা সংগঠনগুলোর আইন-অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশি বর্বরতা


নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ:৯ই ফেব্রুয়ারি:– আজ ৯ই ফেব্রুয়ারি  পশ্চিমবঙ্গের বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মহিলা সংগঠনগুলোর ডাকে কলকাতা কর্পোরেশন অফিসের পাশে আইন – অমান্য কর্মসূচি ছিল। মহিলাদের কতকগুলো নির্দিষ্ট দাবিতে এই কর্মসূচি। আজকের সভায় সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলা সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। নেতৃত্বের বক্তব্যের পর মহিলাদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু গ্রেফতারের আগে বিনা প্ররোচনায় মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয় নৃশংসভাবে। এতে করে কলকাতার কাকলি মৈত্র, দীপু দাস, গীতা অধিকারী প্রমুখ ভীষণভাবে আহত হন। কাকলি মৈত্রের হাত ভেঙে যায় পুলিশের লাঠির আঘাতে। এইড‌ওয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সহ সম্পাদিকা দীপু দাসের কোমরে চোট লাগে । গীতা অধিকারীর হাত লাঠির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত।

  উল্লেখ্য, আহত মহিলাদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দেওয়া হয় নি। তাঁদের এস‌এসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হ’লে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাওয়া যায় নি একটি স্ট্রেচার বা হুইল চেয়ার।  অনেক বাদানুবাদ হ‌ওয়ার পর একটি ভাঙা স্ট্রেচার পাওয়া যায়, তাতে করে নিয়ে যাওয়ায় আহতরা আর‌ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

  স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে এ কোন স্বৈরতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী সরকার চলছে এই রাজ্যে? মহিলাদের ওপর এমন নৃশংস আক্রমণ সরকারের মুখোশের আড়ালের কদর্য মুখটাই প্রকাশ করে। আর‌ও উন্মোচিত হয়, সরকারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কঙ্কালসার পরিষেবা।

     দিল্লির বিজেপি সরকারকেও দেখা গেছে কৃষকদের সমর্থনে আন্দোলনরত এইড‌ওয়ার সাধারণ সম্পাদিকা মরিয়ম ধাওয়ালে ও অন্যান্যদের টেনে হিঁচড়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে। আসলে কেন্দ্রে ও এই রাজ্য সরকার উভয়ের নীতি এক। আন্দোলন দমন, বিরোধী কন্ঠরোধ ফ্যাসীবাদের প্রধান এজেন্ডা। সরকারের পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মানুষ। ধিক্কার জানাচ্ছে চিন্তন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।