রাজ্য

মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে ….তারই প্রমাণ কোয়ারান্টিন সেন্টার করা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ চুরুলিয়া ও সালানপুরে।


মীরা দাস: চিন্তন নিউজ:১৫ই এপ্রিল:- সোমবার সালানপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয় কোয়ারান্টাইন করা নিয়ে। রুপনারায়নপুরে বর্ধমান হাউসে, প্রশাসন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করেছে। সোমবার রাতে আসানসোল থেকে ৭ জনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসার সময়, প্রতাপপুর গ্রামের অধিবাসিরা ডাবর মোড়, বিহার রোডের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান এবং আল্লাডি, ও প্রতাপপুরের মোড়ে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করে। আদিবাসীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ধামসা, মাদল বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখায় অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ করে ইট, পাথর ছোঁড়া হলে অ্যাম্বুলেন্স ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এই বিক্ষোভ জেমারি মোড়, ডাবর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা নিয়ে বিক্ষোভ হয় পরে পুলিশ বিক্ষোভ কারিদের বুঝিয়ে শান্ত করে।

মঙ্গলবার জামুড়িয়ায় চুরুলিয়া গ্রামে কোয়ারান্টিন সেন্টারকে ঘিরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। জামুড়িয়া থানার ওসি সুব্রত ঘোষ, তিনজন মহিলা পুলিশ কর্মী সহ আর ও কুড়িজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন, ওসির পা ভেঙেছে, তার সাথে আরও পাঁচটি পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় ও একজন সাংবাদিকের বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে গ্রামবাসীরা তৃণমুল নেতাদের বাড়িতে চড়াও হয়, এখন গ্রামে পুলিশ পিকেট বসেছে।

জেলা প্রসাশন গ্রামবাসীদের আপত্তিকে আমল না দিয়ে চুরুলিয়ার সরকারী যুব আবাসনে কোয়ারান্টিন সেন্টার করেছে। গত রবিবার গভীর রাতে আসানসোল থেকে ২৭ জন কে এই সেন্টারে রাখা হয়। গ্রামের চৌধুরী পুকুরের কাছে নজরুল মূর্তি র সামনে পুলিশের ওপর হামলা হয়। খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বচসা শুরু হয় তারপর ই হামলা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়, ও এরপরই গ্রামবাসী রা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ করে ইঁট ছোড়ে, গ্রামবাসীরা সংক্রমনের আশঙ্কায় এই ঘটনা ঘটায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।