চৈতালি নন্দী, চিন্তন নিউজ, ১৩ জুলাই: বিধানসভায় আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বিধায়কদের ভাতা বাড়ানো সম্পর্কে। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। এর বিরুদ্ধে জবাবী ভাষনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষের সঙ্গে উত্তর দেন যে, “বামেদের কষ্টের কারন হচ্ছে ভাতা বাড়লে সেই টাকা তো বাম বিধায়কদের পার্টি ফান্ডে দিয়ে দিতে হয়!” তিনি আরও বলেন, “বাম বিধায়করা এই বাজারে চালান কিভাবে।”
এই সব কথোপকথনের মধ্যেই বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন যে এসব সত্বেও আশ্চর্যজনকভাবে বামেদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার কোনো অভিযোগ নেই। এই কথায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্য তৃনমূলের বিধয়কেরা।
কদিন ধরে আলোচনার পর এদিন ভাতা বাড়ানোর বিলে সিলমোহর পড়ে। এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মাসিক আয় হবে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১ টাকা। পূর্ণ মন্ত্রীরা পাবেন মাসিক১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। সাধারণ বিধায়কেরা পাবেন মাসিক ৮১ হাজার ৮৭০ টাকা। বিধায়কদের দৈনিক ভাতা একহাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন যেখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন এখনও কার্যকর হয়নি, তারা ডিএ থেকে অন্যায় ভাবে বঞ্চিত হচ্ছে সেখানে বিধায়কদের এই ভাতা বাড়ানো অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। এই ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কোনো কমিটির উপর ছেড়ে দেওয়াই উচিত ছিল। এই অন্যায় ভাবে ভাতা বাড়ানো সরকারের নির্লজ্জ মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
যদিও কাটমানির প্রসঙ্গে সরকার যে অত্যন্ত চাপের মধ্যে রয়েছে তা ধরা পড়ছে তাদের আচার আচরনের মধ্যেই। এই কাটমানি প্রসঙ্গ যে তাদের কাছে শাঁখের করাত হয়ে দেখা দিয়েছে তা তারা নিজেরাই ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে পারছে।যদিও তারা এই ঘেরাও করে টাকা ফেরতের নিন্দা করেন। কিন্তু সরকার এমন ভাবে কাজ করেছে যাতে প্রতি পদে সরকারি কাজ পেতে জনগণকে টাকা দিতে হয়েছে। বামেদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে কতো বড় ভূল ছিল তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে রাজ্যবাসী।