দেশ বিদেশ

আবারও ভারত-চীন বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত ও লাদাখ সীমান্তে সেনা নিয়ন্ত্রনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পেল-


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১০ই জুলাই:- গতকাল আবারও ভারত-চীন বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে লাদাখ সীমান্তে সেনা নিয়ন্ত্রনের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পেল। গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ালে সীমান্তে সংঘর্ষে ১৫ জন ভারতীয় সেনা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল। চীনা সেনাবাহিনী ভারত-চীন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়সাধনের ষোড়শ সভায় সেনা অপসারণ নিশ্চিত করতে দৃঢ় অবস্থান নেয়।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত ও সার্বিক বিকাশের জন্য উভয় পক্ষই সুনির্দিষ্টভাবে জানায় যে,”সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও প্রশান্তি অপরিহার্য।” গত মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল যে তারা গালওয়াল উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর একদিন পর নয়াদিল্লি ও বেজিং একযোগে গত দুমাসের উত্তেজনার পরিস্থিতি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত ৬, ২২ ও ৩০ জুন উভয়পক্ষের মিলিটারি কর্পস কমান্ডারের মধ্যে বৈঠক হয় এবং ৫ ও ২৪ জুন ডব্লিউ এমসিসির বৈঠক হয়।

গতকালের বৈঠকে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশমন্ত্রক থেকে যুগ্মসম্পাদক(পূর্ব এশিয়া) এবং চীনের পক্ষে ছিলেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমানা ও মহাসাগর বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল। দু দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পাশাপাশি উভয়পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে পাঁচটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুদেশ লাদাখ সীমানার পাশাপাশি অন্যান্য কূটনৈতিক সম্পর্কের অগ্ৰগতি পর্যালোচনা করে একমত হয়েছে যে,”উভয় পক্ষের আন্তরিক বোঝাপড়া বাস্তবায়িত করতে হবে।”

দু’ পক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে।তার অন্য একটি সভা করতে রাজি হয়েছিল কিন্তু দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হয়। ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে দুই দেশের অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি জোর দেন পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর। কোনোপ্রকার সন্দেহ নয়, বিশ্বাসের বাতাবরণ গড়ে তোলা আবশ্যক। এভাবেই সম্ভব দুই দেশের আভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে সুচারুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যা শান্তি ও সংহতি রক্ষায় অবশ্যম্ভাবী।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।