দেশ

উত্তাল উত্তর-পূর্ব


রঘুনাথ ভট্টাচার্য:চিন্তন নিউজ:১৩ই ডিসেম্বর:–নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে সারা দেশে ব‍্যপক আন্দোলনের ডাক দিল বামফ্রন্ট ও তার সহযোগী বাম দলগুলি। আজ, ১২ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সংবাদ সংস্থা এই খবর প্রকাশ করেছে।বলা হয়েছে যে, বস্তুতঃ, উত্তর-পূর্বের অধিকাংশ জনগণের আশাভরসা,নির্ভরশীলতা ও বিশ্বাসে আঘাত করেছে এই নতুন আইন। তাই এই ব‍্যাপক অসন্তোষ, তাই এই ব‍্যাপক জনবিক্ষোভ।

উত্তর-পূর্বের রাজ‍্যগুলির জনজীবন যারপরনাই বিপন্ন। দুই প্রধান শহর তথা শিল্পবাণিজ্যকেন্দ্র গুয়াহাটি ও ডিব্রুগর কার্ফুর কবলে। ট্রেন ও বিমান চলাচল বিপর্য‍্যস্ত।
শাসক দল ও প্রশাসন কর্তৃপক্ষের মতে পরিকল্পিত গুজবের জন‍্যই এই জন – বিশৃঙ্খলা। বলা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে কারা এই গুজবের মূলে তা খতিয়ে দেখেই প্রশাসনিক ব‍্যবস্থা
নেওয়া হবে।

এদিকে, রাজ‍্যজুড়ে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জেরে
উত্তরপূর্বের রাজ‍্যগুলির আইনশৃংখলার অবনতি হয়।
তার উল্লেখে সংসদে মুলতবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস দলের সাংসদ অধীর চৌধুরী,কে সুরেশ ও গৌরব গগৈ বিলের বিরোধিতা করেন। অন‍্যদিকে, এন্ ডি এর সহযোগী দল জে ডি (ইউ) সভাপতি প্রশান্ত কিশোর এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন যে, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের বিচারের অস্ত্র হিসাবে ব‍্যবহৃত হতে পারে এই আইন।

একদিকে অসমের ১০ জেলায় ইন্টারনেট ব‍্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও ৪৮ঘন্টা বৃদ্ধি করা হল ১২ই ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে।এই পরিষেবা স্থগিত আছে লখিমপুর,তিনসুকিয়া,ধমাজি,ডিব্রুগর,চড়াইদেও,শিবসাগর,জোরহাট,গোলাঘাট,কামরূপ( শহর ও জেলা) পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে প্রশাসন সেনার সাহায‍্য তলব করেছে বলে সংবাদে প্রকাশ।

অপর দিকে, প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন যে,অসম ষসহ উত্তরপূর্বের সমস্ত রাজ‍্যের অধিবাসীদের সন্ত্রস্ত
হবার কোনো কারণ নেই। অসম চুক্তির ৬ নং ধারা বলে এখানকার অধিবাসীদের অধিকার ,পরিচয় , সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষিত।২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে
যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা যে কোনও ধর্মেরই হোন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে খবরে প্রকাশ।

উল্লেখযোগ্য যে, এই গুয়াহাটিতে বসতে চলেছে
ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী -র বৈঠক।বামফ্রন্টসহ অন‍্যান‍্য সহযোগী দলের অভিযোগ , এই বিলের দেশের গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট করলো। এদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে এই বিলের প্রভাবে। তারা আরও বলেছে, এই. বিল অসাংবিধানিক। এর প্রতিবাদে ১৯ শে ডিসেম্বর
দেশব‍্যাপী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট ও সহযোগী
বাম দলগুলি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।