জেলা

মীরজাফর আজও বেঁচে আছে.


দেবু রায়, নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ:১লা এপ্রিল:- হ্যাঁ মিরাজাফর মারা গেছেন অনেক দিন, কিন্তু তাঁদের জীন নিয়ে আজও বেঁচে আছেন বাংলার কিছু বুদ্ধিজীবি, মিডিয়া, সংবাদ মাধ্যম, আর আছে কিছু বাম, অতি বাম, দক্ষিণ পন্থী দল।
ছোটবেলায় আমার বাবা বলতেন জগতে দুই ধরনের বুদ্ধি সম্পূন্ন মানুষ দেখা যায়,১)বদ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ যারা মানুষকে বদ বুদ্ধি দিয়ে তাকে ভুল পথে চালিত করে নিজেদের আখের গোছায় ,২)শুভ বুদ্ধি সম্পূন্ন মানুষ যারা সব সময় শুভ বুদ্ধি দিয়ে মানুষ কে সঠিক রাস্তাটা চিনিয়ে দেয়!যদিও তাঁদের সংখ্যাটা অনেক কম।

সিঙ্গুর, বা নন্দীগ্রাম এর শিল্পের প্রশ্নে বাংলার বদ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের সংখ্যাটাই ছিলো বেশি
একবার ভাবুনতো শিল্প না হবার জন্য কারা কি ভাবে লাভবান হয়েছে ?. আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার আপনার মতন ছা -পোষা বাবা, মায়ের সন্তানরা। আর লাভবান হয়েছে সেই সব বুদ্ধিজীবীরা যারা পট পরিবর্তনের ফলে কেউ এম‌এল‌এ, কেউএমপি, কেউ মন্ত্রী, আবার যারা এই গুলোর কিছু পায় নি তারা পেয়েছে সরকারি লোভনীয় পদ. অর্থাৎ যেখানে নিজেদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত, আবার গদি মিডিয়া কুল পেয়েছে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সাহায্য যেমন কোটি -কোটির বিজ্ঞাপন ইত্যাদি, কিন্তু আমার আপনার মতন ছা পোষা বাড়ির সন্তানরা কি পেলো? আবেগকে দূরে রেখে একবার ভাবুন, বাংলার কি হতে পারতো আর কি হলো ?.পেলেন কিছু অনুদান যাকে সোজা বাংলায় বলে ভিক্ষা, আচ্ছা এই হাত পেটে ভিক্ষা নিতে কি কখনো নিজেদের ছোট বলে মনে হয় না.? কখনো কি মনে হয় না কেন আমার নাতি সাইকেল নেবে?. আমার ছেলেটা যদি ২৫০০০/-টাকার কাজ পেতো তাহলে তো নিজের উপার্জনেই তার ছেলের সাইকেল কিনতে পারতো, অর্থাৎ আপনি আমার উপর নির্ভরশীল থাকুন , যে টুকু পাচ্ছেন, ওই টুকু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন , হ্যাঁ এই জায়গায় বুদ্ধ বাবু চেয়েছিলেন বেকার রা কাজ পাক, তারা মাথা উঁচু করে রোজগার করে সংসার প্রতি পালন করুক , কারোর দয়া বা দানে নয় !

২০১১এর পরে সরকার পরিবর্তন হয় , কি পেলাম? শিল্প হলো তেলেভাজা, এসএসসি, পিএসসি সব বন্ধ , বুড়ো বাপ্ মাকে রেখে বাড়ির ছেলেটাকে বিদেশে থাকতে (রাজ্যের বাহিরে )হচ্ছে। ঘরে বুড়ো -বুড়ি দেখার কেউ নেই। এটা তো বুদ্ধ বাবু চান নি, চেয়েছিলো মীরজাফর এর দল। এরা হলো বদ বুদ্ধ সম্পন্ন যারা বাংলার শিল্প সম্ভবনাকে নস্ট করার জন্য মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করে. আর এদের যোগ্য সঙ্গী ছিলো বিভীষণ নামক মিডিয়া কুল ও অতি বাম কিছু বিপ্লবী!

যদিও সেই সময় কিছু শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এগিয়ে এসেছিলো বোঝাতে যেমন আনিন্দিতা সর্বাধিকারী , বা সৌমিত্র বাবুর মতন কিছু মানুষ কিন্তু বদ বুদ্ধি মানুষরা আমাদের উপর এমন ভর করেছিলো যে আমরা সাদা আর কালোর তফাৎ বুঝতে পারি নি, কারন বিভীষণ রুপী মিডিয়া কুল প্রতি মুহূর্তে প্রচার।

কবির সুমন বাবু দেখতে চেয়েছিলেন রোজ পাঁচ টা লাশ, রোজই দেখছেন, বাংলার ছেলে- মেয়েরা দুয়ারে -দুয়ারে ঘুরে চাকরি না পেয়ে, জীবনের প্রতি ঘৃণা থেকে আত্মাহত্যা করছে। আপনার ইচ্ছে অবশ্যই ভগবানের পূরণ করেছেন।

তাই বলছি আগামী প্রজন্ম র দিকে তাকিয়ে
মিডিয়ার প্রচার থেকে নিজেদের সরিয়ে , আগামী প্রজন্ম র কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেবেন নচেৎ আপনাকে বা আমাকে ইতিহাস কিন্তু বলবে আমরাও ছিলাম ঘর শত্রু বিভীষণ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।