রাজ্য

পূজা উৎসবে করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালো ডাক্তাররা


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ, ৯অক্টোবর: আগামী পূজা উৎসবে করোনা সংক্রমণ রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে আবেদন জানানো হলো জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের পক্ষ থেকে। করোনা অতিমারীতে দেশে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ রোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো জনজমায়েত রোধ করা। বিষয়টি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের ভার সরকারের। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রের গণেশ চতুর্থী ও গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে নবরাত্রিতে ঐতিহ্যশালী গর্বা নাচ ইত্যাদি বাতিল করা হয়েছে। এই রাজ্যে ঈদ, মহরমও পালিত হয়েছে সমারোহহীনভাবে ঘরে ঘরে।

কিন্তু উৎসবের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল হবার ফলে করোনা সংক্রমণের যে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কেরালায় ওনামের লাগামহীন উৎসবের ফলে তাতে সংক্রমণ বেড়ে গেছে কয়েকশত গুন। রাজ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

স্পেনেও আন্তর্জাতিক নারীদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি ফুটবল ম্যাচে জনসমাগমের পর দেখা গেলো সেদেশে কোভিড সংক্রমণ চরম পর্যায়ে উঠেছে। আমাদের রাজ্যেও মহালয়া ও বিশ্বকর্মা পূজার পর উল্লেখযোগ্য ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলো। এই বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. হীরালাল কোঙ্গার ও ডা. পুণ্যব্রত গুণ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে উৎসবে সতর্কতা বিধি মানা বিষয়ে একটি আবেদন পত্র দেন।

উক্ত ঘটনাগুলির পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রতিবারের মত পূজার সময়ে উন্মুক্ত উৎসবের আবেগে যদি রাজ্যবাসী জড়িত হয়ে পড়ে তবে পূজা পরবর্তী সময়ে রাজ্যজুড়ে করোনা সুনামিতে ভুগতে হবে। এতো দীর্ঘ দিন ধরে ডাক্তার, পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মীরা একটানা পরিশ্রম করে মানুষকে নিরাপত্তা দেবার কাজে ব্রতী। কিন্তু সাময়িক আনন্দ উৎসবের জন্য এইসব সুরক্ষাকে কিছুতেই নষ্ট করে দেওয়া যায় না। তাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের সনির্বন্ধ অনুরোধ – ১) প্রতিটি নাগরিক বাড়ির বাইরে বেরলেই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হোক।
২) যেকোনভাবেই হোক পূজা মন্ডপে মানুষের জমায়েত বন্ধ করার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরসের যুগ্ম আহবায়ক উক্ত বিষয়গুলোর উপর বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।