বিদেশ

সিরিয়ায় বিধ্বংসী বোমাবর্ষণ করল মার্কিন বোমারু বিমান।


শাশ্বতী ঘোষাল:চিন্তন নিউজ:১৯শেঅক্টোবর:–সিরিয়ায় বিধ্বংসী বোমাবর্ষণ করল মার্কিন বোমারু বিমান।

উত্তর সিরিয়ার কোবানে শহরের একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে গত বুধবার (16.10.19) বোমাবর্ষণ করে মার্কিন বায়ুসেনার দুটি এফ -১৫ যুদ্ধ বিমান। ঐ অঞ্চল টিতে মোতায়েন থাকা মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরই বুধবার থেকে সেখানকার কুর্দি মিলিশিয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুর্কি বাহিনী ।মিত্রশক্তি কুর্দ মিলিয়েশিয়া বা ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ‘কে কার্যত জলাঞ্জলি দিয়ে সমস্ত ঘাঁটি থেকে সরে আসতে শুরু করে মার্কিন সেনা ।

সেনা প্রত্যাহারের আগে লাফারজ সিমেন্টের ঐ ফ্যাক্টরিটিই ছিল মার্কিন ফৌজের একটি মজবুত ঘাঁটি। যুদ্ধক্ষেত্রে মজুত করে রাখা অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলি যাতে অন্য সশস্ত্র বাহিনীর হাতে না পড়ে তাই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
এদিকে উত্তর সিরিয়ার মানবিজ, রাস-আল আইন, কোবানে সহ কুর্দ মিলিশিয়ার দখলে থাকা এলাকা গুলির দিকে বন্যার জলের মতো এগিয়ে আসছে তুরস্কের সেনা ও আঙ্কারার মদতপুষ্ট” ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ” বা আসাদ সরকারের বিরোধী মিলিশিয়া। ফলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মজুত থাকা অত্যাধুনিক মিসাইল, অ্যান্টি -এয়ারক্রাফ্ট গান ,রকেট ও অন্যান্য অস্ত্র হানাদার বাহিনীর হাতে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়েই সেগুলিকে ধ্বংস করতে বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।

মার্কিন সেনার এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন উত্তর সিরিয়ার সব ঘাঁটি ছেড়ে আপাতত কোবানে শহরে এসে জড়ো হয়েছে মার্কিন ফৌজ। সেখান থেকে জওয়ানদের বিমানে করে আমেরিকা ফিরিয়ে আনা হবে। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় রয়েছে প্রায় ৯ হাজার মার্কিন সেনা। কুর্দ বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিলে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াই করছে তারা। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়ার পরই ট্রাম্প মার্কিন ফৌজ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। তারপরই ‘ফ্রি জোন ‘গড়ার উদ্দেশ্যে সিরিয়ার কুর্দ বিদ্রোহী দের দখলে থাকা এলাকায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্কের বাহিনী।

এদিকে মার্কিন ফৌজ সরে যাওয়ায় খুশি রাশিয়া। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে ই মানবিজে একাধিক মার্কিন সামরিক ঘাঁটি র দখল নিয়েছে রুশ সেনা। পাশাপাশি শহরে প্রবেশ করেছে মস্কোর বন্ধু প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী ও। সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১২০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে ২০ জন, এবং এক লক্ষ লোকজন তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আকাশে উঠছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলের বেনজির লড়াই চলছে।যার মাশুল গুনতে হচ্ছে নিরীহ নাগরিকদের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।